দেশে বছরে ২ লাখ ৭৭ হাজার মানুষের মৃত্যু হৃদরোগে
বাংলাদেশে বছরে ২ লাখ ৭৭ হাজার মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। যার অন্যতম প্রধান কারণ উচ্চ রক্তচাপ। দেশে প্রতি পাঁচজন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে একজনের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ল অ্যাডভোকেসি ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) আয়োজিত ‘বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগ ঝুঁকি এবং করণীয়’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে জনস্বাস্থ্য ও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা এসব তথ্য তুলে ধরেন।
বিশ্ব হার্ট দিবস ২০২২ উপলক্ষে এ আয়োজনে সহযোগিতা করেছে গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই)। ‘ইউজ হার্ট ফর এভরি হার্ট’- এ প্রতিপাদ্য নিয়ে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ব হার্ট দিবস পালিত হবে।
ওয়েবিনারে জানানো হয়, হৃদরোগের অন্যতম প্রধান কারণ উচ্চ রক্তচাপ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বে ১ দশমিক ২৮ বিলিয়ন মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছে, যার দুই-তৃতীয়াংশের বাস বাংলাদেশসহ নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে। উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসা করা না হলে বুকে ব্যথা বা অ্যানজাইনা, হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ফেইল এবং হার্ট বিট অনিয়মিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আশঙ্কার বিষয় হলো সাম্প্রতিক সময়ে দেশে তরুণদের মধ্যেও হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার উচ্চ প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশব্যাপী উচ্চ রক্তচাপ বিষয়ে গণসচেতনতা তৈরি এবং সব কমিউনিটি ক্লিনিকে রক্তচাপ পরীক্ষা ও উচ্চ রক্তচাপের ওষুধের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি প্রয়োজন এ খাতে সরকারের বাজেট বাড়ানো।
ওয়েবিনারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ারের (সিবিএইচসি) লাইন ডিরেক্টর ডা. মাসুদ রেজা কবির বলেন, এরই মধ্যে কমিউনিটি ক্লিনিক পর্যায়ে উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসাসেবা শুরু হয়েছে এবং অল্প সময়ের মধ্যে দেশের সব কমিউনিটি ক্লিনিকে এ কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা সম্ভব হবে।
ওয়েবিনারে আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন- ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের ইপিডেমিওলজি অ্যান্ড রিসার্চ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. এস এম মোস্তফা জামান, জিএইচএআই বাংলাদেশ কান্ট্রি লিড মুহাম্মাদ রূহুল কুদ্দুস, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের হাইপারটেনশন কন্ট্রোল প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মাহফুজুর রহমান ভূঁইয়া ও ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. শামীম জুবায়ের এবং প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের।
ওয়েবিনারটি সঞ্চালনা করেন প্রজ্ঞার কো-অর্ডিনেটর সাদিয়া গালিবা প্রভা। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ এ ওয়েবিনারে অংশ নেন।
এএএম/এমকেআর/এএসএম