ভিডিও EN
  1. Home/
  2. স্বাস্থ্য

গবেষণা ছাড়া কোনো দেশ এগোতে পারে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৪:৫৪ পিএম, ৩০ আগস্ট ২০২২

যে দেশে গবেষণা নাই, সেই দেশ এগিয়ে যেতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, নানামুখী গবেষণার কারণে বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে। নগরায়ণ, মানব সভ্যতা এগিয়ে গেছে এই গবেষণার মাধ্যমে।

মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। গবেষণা কাজে নিয়োজিত ৬৩ কর্মকর্তাকে পুরস্কৃত করতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের জন্য গবেষণা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি একটু পেছনের দিকে তাকাই, গবেষণা করা হয়েছিল বলেই ওষুধ তৈরি হয়েছে। একটা সময় কিন্তু কোনো ওষুধ ছিল না। অসুখ-বিসুখে কতো মানুষ মারা গেছে, তার কোনো হিসাব নেই।

জাহিদ মালেক বলেন, জাতীয় সংসদে আমাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ আইন পাস হয়েছে। এটি হলো প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ এবং ডেন্টাল কলেজ স্থাপনের নীতিমালা, পরিচালনাসহ সার্বিক বিষয়ে। দীর্ঘদিন আমাদের চাহিদা ছিল যেন আইনটি পাস হয়। এর ফলে স্বাস্থ্যসেবার মান যেন আরও ভালো হয়, নিয়মের মধ্যে আসে এবং সাধারণ জনগণ ভালো সেবা পায়। সেই লক্ষ্যেই আইনটি করা হয়েছে। আইনটি নিয়ে সবাই খুশি এবং প্রধানমন্ত্রীসহ সবাই এর প্রশংসা করছেন।

তিনি বলেন, আমরা স্বাস্থ্য বিভাগকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। আপনারা জানেন স্বাস্থ্য বিভাগ বড় একটি বিভাগ। এটিকে নিয়ে আমাদের ব্যাপক কর্মযজ্ঞ এবং কর্মপরিকল্পনা রয়েছে। যেখানে তিন লাখ লোক কাজ করে শুধু সরকারি পর্যায়ে। আর এরকম বহু তিন লাখ (অসংখ্য মানুষ) বেসরকারি পর্যায়ে কর্মরত আছেন। স্বাস্থ্যখাতে একটি বড় বিভাগ হলো চিকিৎসা সেবা। এরমধ্যে আবার অনেকগুলো ভাগ আছে। পাশাপাশি আরেকটি বিভাগ হলো স্বাস্থ্য শিক্ষা। এখানে মেডিকেল কলেজ শিক্ষা রয়েছে, পোস্ট গ্রাজুয়েশন শিক্ষা রয়েছে। এছাড়া নার্সিং, ম্যাটসসহ বিভিন্ন ভাগ রয়েছে। পাশাপাশি ফার্মাসিউটিক্যালস আছে, আমাদের ১০-১২টি ইন্ডাস্ট্রি আছে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান, প্রখ্যাত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. কাজী দ্বীন মোহাম্মদ প্রমুখ।

এএএম/কেএসআর/এমএস