ভিডিও EN
  1. Home/
  2. স্বাস্থ্য

দেশে ইঁদুরের প্রস্রাববাহিত ‘লেপ্টেস্পাইরা’ রোগের প্রকোপ!

প্রকাশিত: ০৮:৪৫ এএম, ৩১ জানুয়ারি ২০১৬

ইঁদুরের ইউরিন (প্রস্রাব) বাহিত ‘লেপ্টেস্পাইরা’ নামক এক ধরনের রোগের প্রকোপ বাড়ছে বাংলাদেশে। সাধারণ জ্বর, সর্দি-কাশি, জন্ডিস ও গায়ে লালচে রেশ উঠা এ রোগের উপসর্গ হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রোগটি সঠিকভাবে শনাক্তে ব্যর্থ হচ্ছেন চিকিৎসকরা!

মহাখালি রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) পরিচালিত ২০ মাস মেয়াদি খাদ্যবাহিত রোগ নিরীক্ষণ প্রতিবেদনে এ রোগে প্রায় দেড়শ’ রোগী আক্রান্ত হওয়ার নিশ্চিত প্রমাণ পাওয়া গেছে। রাজধানীর বেসরকারি  উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সর্বোচ্চ ২৫ রোগীর এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার তথ্য প্রমাণ রয়েছে। আইইডিসিআরের ল্যাবরেটরিতে রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে এ রোগ সম্পর্কে নিশ্চিত করা হয়।

জানা যায়, এ রোগে (লেপ্টেস্পাইরা) আক্রান্ত হয়ে নরসিংদীর একটি পরিবারের চার জনের মধ্যে দু`জনের মৃত্যু হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
 
মহাখালি রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহমুদুর রহমান এ রোগে আক্রান্ত দু`জনের মৃত্যুর সত্যতা স্বীকার করে জাগো নিউজকে বলেন, প্রধানত ইদুরের ইউরিনবাহিত (অন্যান্য গবাদিপশুর মাধ্যমেও সংক্রমিত হতে পারে) এ রোগে জ্বর, সর্দি-কাশি, জন্ডিস ও শরীরে লালচে রেশ উঠা উপসর্গ। এসব উপসর্গেও রোগীর তিনদিনের বেশি গায়ে জ্বর থাকলে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। রোগীর সঙ্গে কথাবার্তা বলে সন্দেহ হলে পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে এ রোগটি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে।

তিনি আরো বলেন, এটি সরাসরি খাদ্যবাহিত রোগ নয়। ইদুরের প্রস্রাবের মাধ্যমে এ রোগ ছাড়ায়। আগে এ রোগটি শুধুমাত্র মেথরদের মধ্যে হত ভাবা হলেও বর্তমান চিত্র ভিন্ন। ফলে এ রোগটি নিয়ে নতুন করে চিকিৎসকদের ভাবতে হবে।

অধ্যাপক ড. মাহমুদুর রহমান বলেন, এ রোগে সর্বোচ্চ শতকরা ৭০ ভাগ রোগীর মৃত্যুঝুঁকি থাকে। তবে সুখবর হলো অধিকাংশ ক্ষেত্রে যে কোনো ধরনের পেনিসেলিন জাতীয় ওষুধ ব্যবহারে এ রোগটি ভালো হয়ে যায়।

জানা যায়, ২০১৪ সালের মে থেকে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত খাদ্যবাহিত রোগ নিরীক্ষণ এ প্রতিবেদনটি ১০টি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে পরিচালিত হয়। দুই সহস্রাধিক রক্তের নমুনায় পরীক্ষা প্রায় দেড়শ’ রোগী শনাক্ত হয়।

নরসংদী সদর হাসপাতালে ২১ জন, হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ২০ জন, কক্সবাজার জেলা হাসপাতালে ৯ জন, নওগা সদর হাসপাতালে ৬ জন, পটুয়াখালি জেলা হাসপাতালে ২৪ জন, ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে ৮ জন, সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ১৩ জন, উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৫ জন এবং চট্গ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি হাসপাতালে ৯ জন শনাক্ত হয়।

এমইউ/আরএস/আরআইপি

আরও পড়ুন