ভিডিও EN
  1. Home/
  2. স্বাস্থ্য

তারকা হাসপাতালে বন্ধ হচ্ছে ফাস্টফুড বিক্রি!

প্রকাশিত: ০৭:১৩ এএম, ১৭ জানুয়ারি ২০১৬

রাজধানীতে পাঁচ তারকাখ্যাত প্রাইভেট হাসপাতালে অসুস্থ রোগী দেখতে গিয়ে দর্শনার্থীদের ফাস্টফুডের দোকানে ঢু মারা এক ধরনের সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্কয়ার, ল্যাবএইড, পপুলারসহ বিভিন্ন হাসপাতালের ফাস্টফুডের দোকানগুলোতে দর্শনার্থীদের ভিড় লেগেই থাকে।

রীতিমতো লাইনে দাঁড়িয়ে হটডগ, বার্গার, পুডিং, চিকেন পেটিস, চিকেন রোল, নুডলস, চিকেন ফ্রাই ও কেক ইত্যাদি কিনে খেতে দেখা যায়। সাধারণ আট-দশটা দোকানের চাইতে এ সব খাবারের দামও বেশি। হালআমলের খবর হচ্ছে প্রাইভেট হাসপাতালগুলোতে অচিরেই ফাস্ট ফুডের দোকান বন্ধ হচ্ছে।

নেপথ্যের কারণ অনুসন্ধানে জানা গেছে, সম্প্রতি ভ্রাম্যমাণ আদালত রাজধানীর স্কয়ার, ল্যাবএইড, পপুলারসহ রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে অভিযান পরিচালনাকালে আমদানি নিষিদ্ধ ওষুধ মজুদের অভিযোগে লাখ লাখ টাকা জরিমানার পাশাপাশি বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়া বিভিন্ন ধরনের ফাস্টফুড বিক্রির অভিযোগে মোটা অঙ্কের টাকা জরিমানা করেন। মুনাফার চেয়ে আর্থিক জরিমানার পরিমান বেশি হওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়ার চিন্তা-ভাবনা চলছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ছোট থেকে বড় হাসপাতালে যে সব মজাদার খাবার বিক্রি হচ্ছে তার সিংহভাগেরও বিএসটিআইয়ের লাইসেন্স নেই। বিএসটিআইয়ের তালিকায় রুটি, কেক ও বিস্কুটসহ মাত্র ৪টি পণ্য রয়েছে। ফলে ফাস্টফুডের দোকানিরা এ ধরনের খাবার বিক্রি বন্ধ করার চিন্তা-ভাবনা করছেন। বিভিন্ন হাসপাতালের ভাড়াটে দোকানিদের কেউ কেউ দোকান ছেড়ে দেয়ারও চিন্তা-ভাবনার কথা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ চৌধুরী বিভিন্ন সময় গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে বলেছেন, উচ্চ ক্যালরিযুক্ত বিভিন্ন ধরনের ফাস্টফুড খাবার জনস্বাস্থ্যের জন্য বিশেষ করে ছোট শিশুদের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

সম্প্রতি এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে রাজধানীর বারাকাহ কিডনি অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. আলতাফ হোসেন বলেন, ছোট থেকে বড় সব হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর সঙ্গে ও তাদের দেখতে আত্মীয় স্বজনরা আসেন। তারা অনেকেই এসে খাবারের দোকান খুঁজেন।  

তিনি বলেন, চাহিদা থাকার কারণেই প্রতিটি হাসপাতালে খাবারের দোকান রয়েছে। প্রতিটি দোকানেই উন্নতমানের খাবার রাখা হয়। কিন্তু মাত্র ৪টি খাদ্য পণ্য ছাড়া বাকিগুলো বিএসটিআইয়ের অনুমোদন নেই এ অভিযোগে আর্থিক জরিমানা কতটুকু যুক্তিসঙ্গত প্রশ্ন রেখে আলতাফ হোসেন বলেন, স্কয়ারের মতো হাসপাতালে রাখা খাবারে ত্রুটি ধরে জরিমানা করলে অন্যরা যাবে কোথায়?

বিএসটিআই ও জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের একাধিক কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বলেন, অধিকাংশ হাসপাতালে হোমমেড ফাস্টফুড বিক্রি করা হয়। এগুলো কোনো বাড়িতে কোনো পদ্ধতিতে কতদিনের জন্য কি কি উপাদানে তৈরি হয়েছে তার উল্লেখ থাকে না।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে হাসপাতালে বিএসটিআইয়ের অনুমোদনহীন কোন খাবার বিক্রি করতে দেখলে মোটা অংকের টাকা জরিমানা অব্যাহত থাকবে বলে তারা জানান।

এমইউ/এসএইচএস/জেডএইচ/আরআইপি