ভিডিও EN
  1. Home/
  2. স্বাস্থ্য

ভোর থেকেই দীর্ঘ সারি, টিকাকেন্দ্রে ব্যাপক ভিড়

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১০:৫৬ এএম, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২

একদিনে দেশের এক কোটি মানুষকে করোনা টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। আজ (শনিবার) শুরু হয়েছে গণটিকাদানের এই কার্যক্রম। জন্মনিবন্ধন সনদ ও জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়াই টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হচ্ছে আজ। এসব কাগজপত্র না থাকায় বা অন্য সমস্যার কারণে যারা এতদিন টিকা নিতে পারেননি তারা আজ কেন্দ্রে ভিড় করছেন। সব বয়সের নারী-পুরুষ ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে টিকা দিতে আসছেন। ফলে ভোর থেকেই টিকাকেন্দ্রে ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

রাজধানীর যে কয়টি কেন্দ্র থেকে এই গণটিকা দেওয়া হচ্ছে তার একটি মালিবাগ চৌধুরীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র। টিকা কার্যক্রম শুরু হওয়ার আগেই আশপাশের বাসিন্দারা এই কেন্দ্রে এসে ভিড় করেন।

টিকাকেন্দ্রের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কেউ কেউ ভোর রাতে এসেই লাইনে দাঁড়িয়েছেন। তবে সকাল ১০টার আগে কেউ টিকা পাননি। কারণ কেন্দ্রটিতে সকাল ১০টার পর টিকা দেওয়া শুরু হয়।

jagonews24

কেন্দ্রটিতে টিকা নিতে আসা হাবিব নামের একজন বলেন, ফজরের নামাজের পরপরই লাইনে এসে দাঁড়িয়েছে। আমি আসার আগেই অনেকে এসে লাইনে দাঁড়িয়েছেন। ছয় ঘণ্টার ওপরে হয়ে গেছে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। আর কতক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে বুঝতে পারছি না।

এর আগে টিকা নেননি কেন? এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমরা রিকশা চালাই। গরিব মানুষ কাজ করে খাই। এর আগে শুনেছিলাম ঘরে ঘরে গিয়ে টিকা দিয়ে আসবে। তাই আগেও এখানে টিকা দেওয়া হলেও নেইনি। এখন শুনছি আজকের পর আর টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হবে না। তাই টিকা নিতে চলে এসেছি।

টিকা নিতে আসা হাজেরা নামের আর একজন বলেন, আমার জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে গেছে। জন্মনিবন্ধন সনদ নেই। এইজন্য আগে টিকা দিতে পারিনি। এখন জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়াই টিকা দেওয়া যাচ্ছে। তাই টিকা নিতে চলে এসেছি। যত কষ্টই হোক আজ টিকা নিয়ে যাবো।

jagonews24

আমেনা নামের এক গার্মেন্ট কর্মী বলেন, আগে অবহেলা করে টিকা নেওয়া হয়নি। গার্মেন্টসে কাজ করে ছুটি পাওয়া কঠিন। তবে এখন টিকা নেওয়ার জন্য গার্মেন্টস থেকে চাপ দিচ্ছে। আবার আজকের পর টিকার প্রথম ডোজ পাওয়া যাবে না বলে শুনছি। তাই ছুটি নিয়ে আজ টিকা নিতে এসেছি।

তিনি বলেন, টিকা নিতে আজ মানুষের অনেক ভিড় হবে আগেই বুঝতে পেরেছিলাম। এজন্য ভোররাতেই চলে এসেছি। প্রথমে শুনেছিলাম সকাল ১০টা থেকে টিকা দেওয়া হবে। কিন্তু টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে ১০টার পর থেকে। আমার সামনে আরও একশ’ মতো মানুষ আছে। কখন টিকা নিতে পারবো বুঝতে পারছি না। তবে যত কষ্টই হোক আজ টিকা নিয়ে যাবো।

এমএএস/কেএসআর/এমএস