ভিডিও EN
  1. Home/
  2. স্বাস্থ্য

সপ্তাহের ব্যবধানে করোনায় সুস্থতা বেড়েছে ৩২০ শতাংশ

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ০৬:০৯ পিএম, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২

গত এক সপ্তাহে করোনাভাইরাস শনাক্তে নমুনা পরীক্ষার হার ও নতুন রোগী শনাক্ত কমেছে। বেড়েছে করোনায় মৃত ও সুস্থ রোগীর সংখ্যা। এপিডেমিওলজিক্যাল ৫ম সপ্তাহে (৩১ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি) করোনা শনাক্তে ২ লাখ ৯৩ হাজার ৮৫টি নমুনা পরীক্ষা, ৭৬ হাজার ২০০ রোগী শনাক্ত, ৩৬ হাজার ৯০৫ জন সুস্থ এবং ২২৬ জনের মৃত্যু হয়। নমুনা পরীক্ষা ৭ দশমিক ৪ শতাংশ ও রোগী শনাক্ত ২৩ দশমিক ৯ শতাংশ হ্রাস পায়।

একই সময়ে সুস্থতা ৩২০ দশমিক ১ শতাংশ এবং মৃত্যু ৬১ দশমিক ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। পূর্ববর্তী এপিডেমওলজিক্যাল ৪র্থ সপ্তাহে ৩ লাখ ১৬ হাজার ৪৪৪টি নমুনা পরীক্ষা, ১ লাখ ১৯৬ জন রোগী শনাক্ত, ৮ হাজার ৭৮৪ জন সুস্থ এবং ১৪০ জনের মৃত্যু হয়।

শতাংশের হিসাবে নমুনা পরীক্ষার হার ২৩ দশমিক ৯ শতাংশ ও রোগী শনাক্ত ৪৮ দশমিক ৬ শতাংশ হ্রাস পায়। একই সময়ে সুস্থতা ১২১ দশমিক ৪ শতাংশ এবং মৃত্যু ৭৭ দশমিক ২ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।

সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক ও কোভিড ইউনিটের প্রধান ডা. মো. জাকির হোসেন খান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এদিকে রাজধানীসহ সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে পুরুষ ২৮ জন ও নারী ১০ জন। মৃত ৩৮ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩২ জন এবং বেসরকারি হাসপাতালে ৬ জন মারা যান। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৬২৭ জনে।

একই সময়ে করোনা শনাক্তে নমুনা পরীক্ষায় নতুন ৯ হাজার ৩৬৯ জন রোগী শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ২১ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সরকারি ও বেসরকারি ৮৬৮টি ল্যাবরেটরিতে ৪৪ হাজার ৬৭১টি নমুনা সংগ্রহ ও ৪৪ হাজার ৪৭১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১ কোটি ২৭ লাখ ৭০ হাজার ৮৮০।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত ও ১৮ মার্চ করোনা আক্রান্ত প্রথম রোগীর মৃত্যু হয়। ২০২০ সালের ৮ মার্চ থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নতুন রোগী শনাক্তের হার ১৪ দশমিক শূন্য ৬৫ শতাংশ।

২০২০ সালের ১৮ মার্চ থেকে চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত ২৮ হাজার ৬২৭ জনের মধ্যে পুরুষ ১৮ হাজার ২৭৮ জন ও নারী ১০ হাজার ৩৪৯ জন।

এমইউ/এমএইচআর/এএসএম