ভিডিও EN
  1. Home/
  2. স্বাস্থ্য

স্বেচ্ছায় রক্তদাতারা রক্তবীর

প্রকাশিত: ০৪:০৯ পিএম, ০৮ জানুয়ারি ২০১৬

অর্থনীতিবিদ ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ-এর সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, জাতীয় বীর তারাই যারা নিজেদের রক্ত অন্যদের জন্য দান করেন। স্বেচ্ছায় রক্তদাতারা হলেন ‘রক্তবীর’।

শুক্রবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন আয়োজিত রক্তদাতাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কমপক্ষে ১০ ও ২৫ বার রক্ত দিয়েছেন এমন দুই শতাধিক রক্তদাতাকে অনুষ্ঠানে ক্রেস্ট, মেডেল এবং সনদ প্রদানের মাধ্যমে সম্মাননা জানায় কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, পৃথিবীতে যদি মানবতার সবচেয়ে বড় সূচক কেউ খুঁজে বের করতে চায় তাহলে রক্তদান হলো সবচেয়ে বড় সূচক। তিনি বলেন, রক্তদানের এ সামাজিক আন্দোলনকে আরও বিস্তৃত করতে হবে। আগামী ২০ বছরে রক্তদানের এ সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে স্বেচ্ছায় ২৫ শতাংশ নয়, ৫০ শতাংশ রক্তের চাহিদা মেটানোর আশা প্রকাশ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রমের অনারারি পরিচালক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হেমাটোলজি বিভাগের প্রফেসর ডা. এ বি এম ইউনুস।

স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের পক্ষে অনুভূতি বর্ণনা করেন ডা. সাবরীনা ইয়াসমীন এবং নিয়মিত রক্তগ্রহীতাদের মধ্য থেকে অনুভূতির কথা জানান থ্যালাসেমিয়া রোগী আসফিয়া।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রম, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের প্রধান সমন্বয়ক মাদাম নাহার আল বোখারী। সভাপতির বক্তব্যে নিয়মিত রক্তদাতাদের উদ্দেশ্যে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, দানের প্রতিদান কোনো মানুষ কোনোদিনই দিতে পারে না। এ প্রতিদান দিতে পারেন একমাত্র মহান স্রষ্টা। রক্তদানে এরই মধ্যে যারা এগিয়ে এসেছেন তারা নিজেদের পাশাপাশি অন্যদের কাছে এ দানের কথা ছড়িয়ে দেয়ার মাধ্যমে দেশের রক্তের চাহিদার যে ঘাটতি রয়েছে তা মেটানোর আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

উল্লেখ্য, আমাদের দেশে প্রতিবছর প্রায় ছয় লক্ষ ব্যাগ নিরাপদ ও সুস্থ রক্তের চাহিদা রয়েছে। রক্ত ঘাটতির বিপুল এ চাহিদা পূরণের লক্ষ্যেই ১৯৯৬ সাল থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি ও স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে কোয়ান্টাম। গত এক যুগের প্রচেষ্টায় প্রায় সাড়ে সাত লক্ষাধিক মানুষের জীবন রক্ষায় ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন।

এমইউ/বিএ