সপ্তাহের ব্যবধানে সংক্রমণ হার কমেছে ১০ শতাংশ
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কিছুটা কমেছে। এক সপ্তাহ আগে অর্থাৎ গত ২৮ জানুয়ারি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ছিল ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ। শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) তা ২২ দশমিক ৯৫ শতাংশে নেমেছে। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে সংক্রমণের হার ১০ শতাংশের বেশি কমেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশের ৮৬৮ ল্যাবে ৩৯ হাজার ৪৪৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে পজিটিভ রিপোর্ট আসে ৯ হাজার ৫২ জনের। সেই হিসাবে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশে মহামারি করোনা শনাক্তের পর চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি সংক্রমণের হার ছিল সর্বোচ্চ। ওইদিন ৪৬ হাজার ২৬৮টি নমুনা পরীক্ষায় ১৫ হাজার ৪৪০ জনের করোনা শনাক্ত হয়। ফলে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ছিল ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ। এর দুদিন পর দেশে সংক্রমণের হার ৩০ শতাংশের নিচে নামে।
গত ৩১ জানুয়ারি সংক্রমণের হার কমে দাঁড়ায় ২৯ দশমিক ৩৭ শতাংশে। এরপর ১ ফেব্রুয়ারি সংক্রমণের হার ছিল ২৯ দশমিক ১৭ শতাংশ, ২ ফেব্রুয়ারি ২৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ, ৩ ফেব্রুয়ারি ২৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ এবং ৪ ফেব্রুয়ারি তা ২২ দশমিক ৯৫ শতাংশে নামে।
এদিকে, গত তিনদিনে দৈনিক মৃত্যু ৩০-এর ঘরে ওঠা-নামা করছে। ১ ফেব্রুয়ারি মারা যান ৩১ জন, ২ ফেব্রুয়ারি ৩৬ জন এবং ৩ ফেব্রুয়ারি ৩৩ জনের মৃত্যু হয়।
অন্যদিকে গেল তিনদিনে দেশে সুস্থতার সংখ্যাও বেড়েছে। গত ১ ফেব্রুয়ারি সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৭২১ জন, ২ ফেব্রুয়ারি চার হাজার ২০৩ জন এবং ৩ ফেব্রুয়ারি ৫ হাজার ৯৫৫ জন করোনা থেকে সেরে উঠেছেন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর তথ্য দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ওই বছরের শেষ দিকে সংক্রমণ কিছুটা কমলেও গত বছরের এপ্রিল থেকে জুন-জুলাই পর্যন্ত করোনার ডেল্টা ধরন ব্যাপক আকার ধারণ করে। বছরের শেষ কয়েক মাস পরিস্থিতি কিছুটা শিথিল থাকলেও এ বছরের শুরু থেকে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টসহ করোনার বিস্তার আবারও বাড়তে শুরু করে।
এএএইচ/এমএস