ভিডিও EN
  1. Home/
  2. স্বাস্থ্য

টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৯ কোটি মানুষ, দ্বিতীয় ৫ কোটি

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ১১:৩৩ এএম, ২০ জানুয়ারি ২০২২

দেশে চলছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। এরই মধ্যে বাড়ছে সংক্রমণ। এ অবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলতে নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। পাশাপাশি টিকাদান কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।

সরকারিভাবে বর্তমানে প্রতিদিন সারাদেশে লাখ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে প্রায় ১৫ কোটি টিকা। বর্তমানে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের পাশাপাশি তৃতীয় ডোজ (বুস্টার) চলছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দেশে মোট ১৪ কোটি ৯৮ লাখ ৭১ হাজার ২৫১ ডোজ টিকা দেওয়া শেষ হয়েছে। ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত এই টিকা দেওয়া হয়।

এর মধ্যে প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন নয় কোটি ১৩ লাখ ২২ হাজার ৫৩৮ জন। আর পাঁচ কোটি ৭৬ লাখ ৭৫ হাজার ২৭২ জন নিয়েছেন দ্বিতীয় ডোজের টিকা। এছাড়া বুস্টার ডোজ নিয়েছেন ৭৬ হাজার ৭৪১ জন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সবশেষ ১৯ জানুয়ারি সারাদেশে মোট ১৩ লাখ ১৮ হাজার ৭৭৫ জন টিকা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রথম ডোজের টিকা নেন ৯ লাখ ৩০ হাজার ৭০০ জন। আর তিন লাখ ১১ হাজার ৩৪ জন নেন দ্বিতীয় ডোজের টিকা।

এসময়ের মধ্যে প্রথম ডোজের টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে পুরুষ চার লাখ ৬৭ হাজার ৪১১ জন ও নারী চার লাখ ৬৩ হাজার ২৮৯ জন। অপরদিকে দ্বিতীয় ডোজের টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে পুরুষ এক লাখ ৬৮ হাজার ২৬৩ জন ও নারী রয়েছেন এক লাখ ৪২ হাজার ৭৭১ জন।

দেশে এখন পর্যন্ত আট কোটি ৪১ লাখ ৬১ হাজার ২৩৪ জন টিকা গ্রহণের জন্য নিবন্ধন করেছেন। তাদের মধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে আট কোটি ১৭ লাখ ৯৩ হাজার ৩১৯ জন, পাসপোর্টের মাধ্যমে এক কোটি ২৮ লাখ ১৫০ জন এবং জন্মসনদের মাধ্যমে ১০ লাখ ৯৪ হাজার ৭৬৫ জন নিবন্ধন করেন। আর বাকি টিকাগুলো দেওয়া হয় নিবন্ধন ছাড়া।

দেশে গত বছরের ২৭ জানুয়ারি রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর সারাদেশেই শুরু হয় টিকাদান কার্যক্রম। বর্তমানে দেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার, সিনোফার্ম ও মডার্নার টিকা দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে সবশেষ বুধবার (১৯ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, এর আগের ২৪ ঘণ্টায় এ ভাইরাসে নতুন করে সাড়ে নয় হাজার করোনা রোগী শনাক্ত হন। আর মারা যান ১২ জন। নমুনা পরীক্ষার হিসেবে শনাক্তের হার ২৫ শতাংশের বেশি।

এমইউ/জেডএইচ/জিকেএস