কোনো কোনো জেলায় করোনা পরীক্ষায় আগ্রহী লোকের সংখ্যা কম
করোনা প্রতিরোধে সবাই মিলে কাজ করলে সাফল্য সুনিশ্চিত বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, এ মুহূর্তে করোনা রোগীর সংখ্যা বেশি কিন্তু সেটি অস্বাভাবিক বেশি নয়। সে সংখ্যক রোগীকে হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত আয়োজন রয়েছে। হাসপাতালে বেড, অক্সিজেন সিলিন্ডার, ন্যাজেল ক্যানুলা ও অক্সিজেন কনসেনট্রেটরের সরবরাহ দেওয়া রয়েছে।
বুধবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে বক্তব্যকালে তিনি এ কথা বলেন।
মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, বিশ্বে মহামারি করোনাভাইরাসে ২৯ কোটির বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। ৫৪ লাখেরও বেশি মানুষ মূল্যবান প্রাণ হারিয়েছেন। এ প্রেক্ষাপটে ওমিক্রনের যে বিস্তার ঘটেছে সে প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন দেশ প্রস্তুতি নিচ্ছে। সে প্রস্তুতির জায়গা থেকে বাংলাদেশ নভেম্বর মাস থেকেই কাজ করছে। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত সামগ্রিক করোনার যে নিম্নমুখী প্রবণতা ছিল তা একটু একটু করে ঊর্ধ্বগামী হচ্ছে।
‘করোনা শনাক্তে গত এক সপ্তাহে ১ লাখ ৩৬ হাজারেরও বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়। যা পূর্ববর্তী সপ্তাহের তুলনায় ১৪ হাজারেরও বেশি। শতকরা হিসাবে তা ১১ দশমিক ৫৫ শতাংশ বেশি। গত এক সপ্তাহে ৩ হাজার ৮৯২ জন রোগী শনাক্ত হয়। যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ১ হাজার ৫০৩ জন বেশি। শতকরা হিসাবে ৬৩ শতাংশের বেশি রোগী শনাক্ত হয়। গত সাতদিনে মারা যান ২৫ জন যা পূর্ববর্তী সাতদিনের তুলনায় ১৪ জন বেশি।’
তিনি বলেন, রাজধানীসহ সারাদেশে ৮৫২টি আরটিপিসিআর, জিন এক্সপার্ট এবং র্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট ল্যাবরেটরিতে করোনা শনাক্তে নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে। বর্তমানে করোনার সংক্রমণ বাড়লেও নমুনা পরীক্ষা করতে যাওয়া আগ্রহী লোকের সংখ্যা অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় কম দেখা যাচ্ছে। কোনো কোনো জেলায় নমুনা কম সংগ্রহ হচ্ছে। ৬০ বছরের অধিক সংখ্যক বয়সীদের মধ্যেই করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যু বেশি হচ্ছে।
করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ পুরো বিশ্বে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বলেও মন্তব্য করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা।
এমইউ/এমআরআর/এএসএম