করোনায় ডিসেম্বরে মৃত ৯১ জনের ৭৫ জনই টিকা নেননি
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবারও বাড়ছে। এ ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বার বার ব্যক্তিগত সুরক্ষা ও প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি (মুখে মাস্ক পরিধান, ঘন ঘন হাত সাবান বা স্যানিটাইজার দিয়ে ধোয়া, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলা, জনসমাগমস্থল বা ভিড় এড়িয়ে চলা) কঠোরভাবে মেনে চলার পাশাপাশি প্রতিষেধক টিকা প্রদানের ব্যাপারে পরামর্শ দিচ্ছেন। সরকারিভাবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করোনার দুই ডোজ টিকা দেওয়া হলেও অনেকেই অবহেলা করে টিকা গ্রহণ করছেন না। টিকা না গ্রহণের ফলে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যু ঝুঁকি বাড়ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সদ্য বিদায়ী ডিসেম্বর মাসে ৬ লাখ ২ হাজার ৭৩৭টি নমুনা পরীক্ষা করে ৯ হাজার ২৫৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়। আক্রান্তদের মধ্যে ৯১ জনের মৃত্যু হয়। মৃতদের মধ্যে ৭৫ জনের অর্থাৎ ৮২ দশমিক ৪ শতাংশ রোগীর করোনার টিকা নেওয়া ছিল না। অবশিষ্ট মাত্র ১৬ জন অর্থাৎ মাত্র ১৭ দশমিক ৬ শতাংশের টিকা নেওয়া ছিল। এদের মধ্যে আবার ৬ জনের প্রথমে ডোজ ও ১০ জনের দ্বিতীয় ডোজের টিকা নেওয়া ছিল।
এ অব্স্থায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর (অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. মো. রোবেদ আমিন দেশে করোনার সংক্রমণ ঝুঁকি বাড়ছে বলে মন্তব্য করেন। রোববার (২ জানুয়ারি) দুপুরে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে তিনি এ কথা বলেন। করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু ঝুঁকি এড়াতে ব্যক্তিগত সুরক্ষা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি দ্রুত টিকা গ্রহণের পরামর্শ দেন তিনি।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৫৫৭ জন। এ নিয়ে শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৮৬ হাজার ৪৬৬ জনে।
একই সময়ে করোনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৭৭ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯ হাজার ১৮৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আর পরীক্ষা করা হয় ১৯ হাজার ১৩০টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার দুই দশমিক ৯১ শতাংশ।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে মৃত্যু হয় প্রথম একজনের।
এমইউ/ইএ/জেআইএম