মৃত্যুশূন্যের পরদিনই করোনায় মৃত্যু ৭, শনাক্ত ১৯৯
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ছয়জন পুরুষ এবং একজন নারী। এনিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৯৫৩ জনে।
এর আগে এক বছর সাত মাস ১৬ দিন পর শনিবার (২০ নভেম্বর) করোনায় মৃত্যুশুন্য দিন দেখে দেশ। তার আগে ২০২০ সালের ৩ এপ্রিল সবশেষ মৃত্যুশূন্য দিন পার করেছিল দেশ।
রোববার (২১ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর স্বাক্ষরিত করোনা পরিস্থিতি সংক্রান্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
দেশে ২০২০ সালের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে প্রথম রোগীর মৃত্যু হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সরকারি ও বেসরকারি ৮৩৬টি ল্যাবে ১৭ হাজার ৭৪টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এ সময় নমুনা পরীক্ষা করা হয় ১৭ হাজার ১৩৫টি। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে এক কোটি সাত লাখ ২৩ হাজার ৭৯৭ জন।
সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় করা নমুনা পরীক্ষায় নতুন ১৯৯ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ সময়ে নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার এক দশমিক ১৬ শতাংশ। এছাড়া সর্বমোট নমুনা পরীক্ষার তুলনায় করোনা রোগী শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৭০ শতাংশ।
গত বছরের ১৮ মার্চ থেকে আজ (২১ নভেম্বর) পর্য়ন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃতের সংখ্যা ২৭হাজার ৯৫৩ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ১৭ হাজার ৮৯৩ জন ও নারী ১০ হাজার ৬০ জন। মোট রোগী শনাক্তের তুলনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৭৮ শতাংশ।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৯২ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে সুস্থ রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৩৮ হাজার ১৯৮ জনে। শনাক্তের তুলনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৭২ শতাংশ।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত সাতজনের মধ্যে ত্রিশোধ্র্ব একজন, চল্লিশোধ্র্ব একজন, পঞ্চাশোধ্র্ব একজন, ষাটোর্ধ্ব দুইজন, সত্তরোর্ধ্ব একজন এবং ৮০ বছরের বেশি বয়সী একজন রয়েছেন। বিভাগীয় পরিসংখ্যান অনুসারে ঢাকা বিভাগে পাঁচজন, চট্টগ্রামে একজন এবং খুলনায় একজনের মৃত্যু হয়।
এমইউ/জেএইচ/কেএসআর/জিকেএস