ভিডিও EN
  1. Home/
  2. স্বাস্থ্য

স্বাস্থ্যবান জাতি গঠনের স্বপ্ন দেখে স্বাচিপ

প্রকাশিত: ০৪:৫৩ এএম, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৫

একটি স্বাস্থ্যবান জাতি গঠনের মাধ্যমেই বাংলাদেশকে অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোর স্বপ্ন দেখেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান। সারাদেশের জনগণের দোরগোড়ায় চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার মাধ্যমে সুস্থ ও স্বাস্থ্যবান জাতি গঠনে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের চিকিৎসক স্বাচিপ নেতাকর্মীরা নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। এক্ষেত্রে সরকারকে সহযোগিতা ও পরামর্শ প্রদানের মাধ্যমে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

sachibস্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) এর ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ। দিবসটির প্রাক্কালে জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপকালে বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের অনুসারি ভ্রাতৃপ্রতীম চিকিৎসকদের সংগঠনটির সভাপতি ডা. আর্সলান তার ভবিষ্যত পরিকল্পনা ও স্বপ্নের কথা জানান।

স্বাচিপ গঠনের প্রয়োজনীয়তা ও অতীত প্রেক্ষাপট সম্পর্কে জানতে চাইলে অধ্যাপক এম ইকবাল আর্সলান জানান, ১৯৯৩ সালের এই দিনে তৎকালীন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে স্বাধীনতার স্বপক্ষের চিকিৎসকদের এক সম্মেলনের মাধ্যমে স্বাচিপ প্রতিষ্ঠা হয়।

তিনি জানান, ১৯৯০ সালে বিএনপি ক্ষমতা গ্রহণের পর পরই ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) প্রতিষ্ঠা করে। এ সংগঠনটি গঠনের মধ্য দিয়ে চিকিৎসকদের মধ্যে একটি নৈরাজ্যজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়। এ রকম পরিস্থিতিতে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের সকল চিকিৎসকদের ঐক্যবদ্ধ করতেই স্বাচিপ প্রতিষ্ঠা করা হয়।

ইকবাল আর্সলান বলেন, স্বাচিপ গঠনের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তির চিকিৎসকদের ঐক্যবদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছেন। নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেক্টরে অনিয়ম ও বিশৃংখলা নিরসনে অনেকটা সমর্থ হয়েছেন। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার যে উন্নয়ন ঘটেছে সেক্ষেত্রে  ভূমিকা রাখায় সচেষ্ট ছিল স্বাচিপ। বিভিন্ন সময় সরকারের সাথে আলোচনা ও পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। প্রাতিষ্ঠানিক ও সাংগঠনিকভাবে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে জনগনের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিয়ে দেশকে সুস্থ জাতি হিসেবে দেশবিদেশে পরিচিত করাই স্বাচিপের নেতাকর্মীদের স্বপ্ন বলে তিনি জানান।

sachibপ্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন উপলক্ষে স্বাচিপ সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান ও মহাসচিব অধ্যাপক ডা. মো. আবদুল আজিজের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা আজ সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু করেন।

আজ দুপুরে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) মিলনায়তনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

স্বাচিপ গঠনতন্ত্রের মুখবন্ধে যা বলা ছিল :

স্বাধীনতা অর্জনের ২৩ বছর অতিক্রান্ত হইবার পরও স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস বিকৃত, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিষ্প্রভ ও মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি ক্ষমতা ও ক্ষমতার বাইরে পূর্ণবাসিত। এই অবস্থায় মহান মুক্তিযুদ্ধে পেশাজীবিদের মধ্যে সর্বোচ্চ আত্মদানকারি চিকিৎসক সমাজ নিশ্চুপ বসিয়া থাকতে পারে না। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়া যে বাঙ্গালি জাতি স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনিয়াছিল তাহাকে সুসংহত করতে এবং জনস্বাস্থ্য নিশ্চিতকরণসহ চিকিৎসকদের স্বার্থ সংরক্ষনের লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের চিকিৎসকবৃন্দ ‘স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ’ গঠন করিয়াছে। স্বাধীনতা উত্তর বঙ্গবন্ধু সরকার জনগণের মৌলিক অধিকার চিকিৎসাকে সুনিশ্চিত এবং সহজলভ্য করিবার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ হিসেবে চিকিৎসকদেরকে প্রথম শ্রেণিতে উন্নীতকরণ, ইন সার্ভিস ট্রেইনি প্রথা প্রবর্তন, থানা স্বাস্থ্য প্রকল্প গঠন এবং জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রনসহ অন্যান্য প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে যে যুগান্তকারি পদক্ষেপ গ্রহন করিয়াছিলেন বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পরে স্বাস্থ্য সেবা উন্নয়নের সে গতিধারা ব্যাহত হয় এবং চিকিৎসা পেশার মান ও মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়। ওই সময় স্বাচিপের প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব ছিলেন ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন।

এমইউ/এআরএস/আরআইপি