করোনা শনাক্তের হার ৪.৪১ শতাংশ
মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড ১৯) শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় সরকারি-বেসরকারি ৮২০টি ল্যাবরেটরিতে ২১ হাজার ৭৭৫টি নমুনা সংগ্রহ ও ২২ হাজার ২২১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে আক্রান্ত হিসেবে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৯৮০ জন।
নমুনা পরীক্ষার তুলনায় একদিনে শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৪১ শতাংশ। এর আগের দিন (২৫ সেপ্টেম্বর) শনাক্তের হার ছিল ৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ, তার আগের দিন (২৪ সেপ্টেম্বর) ৪ দশমিক ৫৪ শতাংশ। ফলে টানা দুদিন শনাক্তের হার সাড়ে চার শতাংশের উপরে থাকার পর তা সাড়ে চারের নিচে নামলো।
দেশে এখন পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৯৬ লাখ ১৯ হাজার ১৫০টি। এতে রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৫ লাখ ৫১ হাজার ৩৫১। এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ১৩ শতাংশ।
রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২৭ হাজার ৪১৪ জনে।
মৃতদের মধ্যে পুরুষ সাতজন ও নারী ১৪ জন। তাদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ১৭ জন ও বেসরকারি হাসপাতালে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুহার ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
রোগীদের বয়স বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মৃতদের মধ্যে দশোর্ধ্ব একজন, ত্রিশোর্ধ্ব একজন, চল্লিশোর্ধ্ব দুইজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব সাতজন, ষাটোর্ধ্ব সাতজন, সত্তরোর্ধ্ব একজন ও ৮০ বছরের বেশি বয়সী দুইজন মারা গেছেন।
বিভাগওয়ারি হিসাবে ঢাকা বিভাগের ১০ জন, চট্টগ্রামের চারজন, রাজশাহীতে দুইজন, খুলনায় একজন, সিলেটে তিনজন ও ময়মনসিংহ বিভাগের একজনের মৃত্যু হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাস থেকে সেরে উঠেছেন এক হাজার ৩১২ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ১১ হাজার ৪৭৯ জন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
এআরএ/জিকেএস