হেলথ টেকনোলজির ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ
ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি (আইএইচটি) ঢাকা, রাজশাহী ও জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের বিএসসি ইন হেলথ টেকনোলজি কোর্সের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার সকালে মহাখালীর ঢাকা আইএইচটির পরীক্ষা কেন্দ্রে ১০০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নপত্রে কেন্দ্রীয়ভাবে এ তিনটি আইএইচটির বিভিন্ন বিষয়ের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ভর্তি পরীক্ষায় প্রায় দুই হাজার পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগেই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যায়। কে বা কারা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রশ্ন ফাঁস করে। মোবাইল ফোন নিয়ে পরীক্ষার কেন্দ্রে প্রবেশ নিষেধ থাকলেও বেশ কিছু পরীক্ষার্থীকে মোবাইল ফোন নিয়ে হলে প্রবেশ করতে দেখা যায়।
পরীক্ষার্থীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তল্লাশি চালিয়ে পরীক্ষার হল থেকে একজন পরীক্ষার্থীকে মোবাইল ফোনসহ আটক করা হয়। পরীক্ষা শেষে ফাঁসকৃত প্রশ্নপত্রে নেয়া পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে পরীক্ষার্থীরা ঢাকা আইএইচটির সামনের রাস্তায় বিক্ষোভ মিছিল বের করে ভর্তিচ্ছুরা।
চলতি বছর বিএসসি ইন হেলথ টেকনোলজি কোর্সে ঢাকা আইএইচটিতে তিনটি বিষয়ে (বিএসসি ইন হেলথ টেকনোলজি, ল্যাবরেটরি, রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং ও বিএসসি ইন ফিজিওথেরাপি) মোট আসন সংখ্যা ১৫০টি। রাজশাহী আইএইচটিতে বিএসসি ইন হেলথ টেকনোলজি (ল্যাবরেটরি) ও বিএসসি ইন ফিজিওথেরাপিতে ৬০টি আসন ও জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে বিএসসি ইন হেলথ টেকনোলজি, ল্যাবরেটরিতে আসন সংখ্যা ৩০টি।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও জনশক্তি উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. আবদুর রশীদ শুক্রবার বিকেলে জাগো নিউজকে বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ভিত্তিহীন ও নিছক গুজব।
তবে পরীক্ষার হল থেকে একজনকে মোবাইল ফোনসহ আটক করার সত্যতা স্বীকার করে তিনি বলেন, পরীক্ষার হলের বাইরে যে প্রশ্নপত্র পাওয়া গেছে তার সাথে মূল প্রশ্নের কোনো মিল ছিল না।
সার্বিক বিষয়ে জানতে ঢাকা আইএইচটির অধ্যক্ষ ডা. জালাল আহমেদের মোবাইল ফোনে বহুবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এমইউ/এসকেডি/এসএইচএস/পিআর