আশঙ্কাই সত্যি হলো : দুই মাথাওয়ালা শিশুটির মৃত্যু
চিকিৎসকদের সেই আশঙ্কাই সত্যি হলো। প্রকৃতির খেয়ালে বড় ধরনের জন্মগত ক্রুটি (দুই মাথা, দুই হৃদপিণ্ড ও দুই মেরুদণ্ড) নিয়ে জন্মগ্রহণ করা সেই হতভাগ্য শিশুটিকে শেষ পর্যন্ত বাঁচানো সম্ভব হলো না। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিওনেটাল স্পেশাল বেবি কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার রাত সাড়ে ৭টায় নবজাতক শিশুটি মারা গেছে।
নবজাতক শিশু বিভাগের চিকিৎসকের বরাত দিয়ে শিশু সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. কানিজ হাসিনা শিউলি রাত ১১টায় এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
নবজাতক বিভাগের অধ্যাপক ডা. আবিদ হোসেন মোাল্লা শনিবার বিকেলে জাগো নিউজের কাছে শিশুটির শারীরিক অবস্থার মারাত্মক অবনতি হয়েছে জানিয়ে বলেছিলেন, নবজাতক শিশুটির উভয় হৃদপিণ্ডে বড় ধরনের সমস্যা দেখা দেয়ায় তীব্র শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ ধরনের রোগীর বেঁচে থাকার আশা খুবই ক্ষীণ বলে মন্তব্য করেছিলেন।
তথাপিও শিশুটির সুচিকিৎসার জন্য ঢামেক নবজাতক বিভাগের অধ্যাপক ডা. আবিদ হোসেন মোল্লাকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করে তাদের পরামর্শে চিকিৎসা চলছিল।
প্রসঙ্গত, হবিগঞ্জ জেলার ভবানিপুরের বাসিন্দা দরিদ্র কৃষক মো. জালালের সন্তানসম্ভবা স্ত্রী ফেরদৌস আরা বেগম গত বুধবার ডেলিভারি করাতে ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি হন।
সেখানেই শিশুটির জন্ম হয়। জন্মের চারদিনের মাথায় নবজাতক এ শিশুটির মৃত্যু হলো।
এমইউ/বিএ