ঢাকা শহরে ২০ শতাংশ মানুষ ডায়াবেটিস-প্রিডায়াবেটিসের রোগী
সত্তরের দশকে দেশে ডায়াবেটিসের প্রবণতা ছিল মাত্র দুই শতাংশ। বর্তমানে ঢাকা শহরের শতকরা ২০ শতাংশ মানুষ ডায়াবেটিস-প্রিডায়াবেটিসে আক্রান্ত। তাদের মধ্যে শতকরা ১০ শতাংশ ইতিমধ্যেই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ও ১০ শতাংশ আাক্রান্ত হওয়ার শেষ ধাপে রয়েছে। শহর গ্রাম নির্বিশেষে এ রোগের প্রকোপ বেড়েই চলেছে।
আজ বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এন্ডোক্রাইনোলজী (ডায়াবেটিস ও হরমোন) বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত শোভাযাত্রাত্তোর সমাবেশে বক্তারা এ সব তথ্য জানান।
বক্তারা বলেন, নতুন প্রজন্মের ছেলে মেয়েদের মধ্যে ফাস্ট ফুড খাওয়ার প্রবণতা, শরীরে মেদ ভুড়ির বৃদ্ধি এবং কায়িক পরিশ্রমের প্রতি অনিহার কারণে ডায়াবেটিসের হার বৃদ্ধিও অন্যতম প্রধান কারণ। শোভাযাত্রা উদ্বোধন করেন ভিসি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান।
শোভাযাত্রায় অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. মো. রুহুল আমিন মিয়া, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. আলী আসগর মোড়ল, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, পরিচালক (হাসপাতাল) বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আব্দুল মজিদ ভূঁইয়া, ডায়াবেটিস এন্ড এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আবুল হাসনাত, অধ্যাপক ডা. মো. ফরিদ উদ্দিন, ইন্টানাল মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুর রহিম, অর্থোডনটিকস বিভাগের চেয়ারম্যান ডা. গাজী শামীম হাসান, পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) জনাব ছিদ্দিকুর রহমান ভূ্ঞাঁ, চীফ এ্যাস্টেট অফিসার ডা. একেএম শরীফুল ইসলাম, অতিরক্তি পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. নাজমুল করিম মানিক, উপ-পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. মোখলেস উজ জামান হিরু, ডায়াবেটিস এন্ড হরমোন বিশেষজ্ঞ ডা. শাহজাদা সেলিম, সহকারী পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. পবিত্র কুমার দেবনাথ প্রমুখ। দিবসটি উপলক্ষে র্যালি ছাড়াও সুস্থ্য জীবনযাপন এবং ডায়াবেটিসের ব্যাপারে ডায়াবেটিক রোগীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
ভিসি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান বলেন, স্বাস্থ্যসম্মত খাবার ও সুস্থ জীবনযাপনের মাধ্যমেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। শুধুমাত্র স্বাস্থ্যসম্মত খাবার ও জীবনযাপনের মাধ্যমে ৫০ শতাংশ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ করা যায়। তবে ডায়াবেটিস প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি অত্যন্ত জরুরি।
এক্ষেত্রে সংবাপত্রপত্র, টিভি চ্যানেল, বেতার, অনলাইন সংবাদপত্র, সংবাদ সস্থাসহ সংশ্লিষ্ট সকল গণমাধ্যম সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও চিকিৎসাসেবায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা অব্যাহত রাখা হবে। পরিমিত আহারে ও নিয়মিত ব্যায়ামে ডয়াবেটিস-এর মহামারী প্রতিরোধ করা সম্ভব বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
এমইউ/এআরএস/এসএম