রাত পোহালেই স্বাচিপ সম্মেলন
রাত পোহালেই স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ)-এর চতুর্থ বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এদিন হাজারো চিকিৎসকের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠবে ঐতিহাসিক শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। শুক্রবার আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন।
এদিকে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অনুসারী চিকিৎসকদের এ সংগঠনের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ সারাদেশের চিকিৎসকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। অন্যদিকে, সম্মেলন ও নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত করা অথবা নির্বাচিত হওয়ার মধ্যে দিয়ে চিকিৎসকদের এক যুগের অপেক্ষার অবসান ঘটবে।
স্বাচিপের নবীন প্রবীন চিকিৎসকরা জাগো নিউজকে জানান, গত ১২ বছরে সংগঠনের কলেবর বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০০৩ সালে স্বাচিপের সদস্য সংখ্যা মাত্র ২২শ’ থাকলেও বর্তমানে তা ১৩ হাজার ছাড়িয়েছে।
সংগঠনকে অধিক গতিশীল করে তুলতে সম্মেলনের পাশাপাশি শুক্রবার নতুন নেতৃত্ব নির্ধারণ করা হবে। স্বাচিপের পরবর্তী নেতৃত্বে কে বা কারা আসছেন তা নিয়ে পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকলেও সম্মেলনকে সফল করতে সকলেই ঐক্যবদ্ধ।
শীর্ষ নেতাদের সকলের এক কথা-যে কোনো মূল্যে সম্মেলনকে সফল করতে হবে। স্বাচিপ মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও স্বাচিপ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. মনিরুজ্জামান ভূইয়ার কাছে বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৭টায় সম্মেলনের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জাগো নিউজকে জানান, সম্মেলনকে সফল করতে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার সকাল ১০টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট সংলগ্ন গেট দিয়ে প্রবেশ করবেন। এ সময় স্বাচিপের শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ অন্যান্য বিশেষ অতিথিরা প্রধানমন্ত্রীকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে মঞ্চের সামনে নিয়ে আসবেন। এ সময় কবুতর ও বেলুন উড়ানোর পাশাপাশি জাতীয় পতাকা ও স্বাচিপের পতাকা উড়ানো হবে। স্বাচিপের ৬৪ জেলার নেতারা এ পতাকা উড়াবেন।
জয় বাংলা ও বঙ্গবন্ধুর ওপর দুটি গান বাজানোর মধ্যে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী মঞ্চে উঠবেন। মঞ্চের সামনের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মোট ১৩ জন বসবেন এবং বক্তব্য রাখবেন।
তারা হলেন- স্বাচিপ সভাপতি অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক, মহাসচিব ডা. ইকবাল আর্সলান, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ সেলিম, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য বিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী।
আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. বদিউজ্জামান ভূইয়াঁ ডাবলু, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির কো-চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া ও অধ্যাপক ডা. মনিরুজ্জামান ভুইয়া ও সদস্যসচিব ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল ।
এছাড়াও মঞ্চের পিছনে স্বাচিপ সহ-সভাপতি ও অন্যান্য সম্পাদকরা বসবেন। প্রধানমন্ত্রী দুপুর ১২টা পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করবেন বলে জানান তিনি।
পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত, গীতা, বাইবেল ও ত্রিপিটক পাঠ শেষে শুভেচ্ছা বক্তব্য, শোক প্রস্তাব ও স্বাগত বক্তব্য শেষে একে একে বক্তারা বক্তব্য রাখবেন। স্বাচিপ সভাপতির বক্তব্য শেষে সর্বশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুপুরে নামাজ ও মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতির পর বিকেল ৩টায় সম্মেলন শুরু হবে।
সম্মেলনে নতুন নেতৃত্ব নির্ধারণে ভোটের প্রস্তুতি থাকলেও সকলেই প্রধানমন্ত্রীর শেষ কথার দিকে তাকিয়ে আছেন। তিনি নিজে নির্বাচিত করে দিলে কিংবা সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্ধারণ উভয়টাতে সকলেই রাজি রয়েছেন বলে জানা গেছে।
এমইউ/এসকেডি/আরএস/পিআর