দুই হেভিওয়েট সভাপতি প্রার্থীর নেতাকর্মীদের রাতের ঘুম হারাম
আসন্ন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) নির্বাচন উপলক্ষে চিকিৎসকদের রাজনীতির মাঠ সরগরম হয়ে উঠেছে। নির্বাচনে দুই হেভিওয়েট সভাপতি প্রার্থী ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও ডা. ইকবাল আর্সলানকে বিজয়ী করতে মরিয়া হয়ে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন তাদের পক্ষের নেতাকর্মীরা।
নেতাকর্মীরা পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। রাজধানীসহ সারাদেশের চিকিৎসকদের সঙ্গে বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে ভোট প্রার্থনা ও দোয়া কামনা করছেন তারা।
স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ নির্বাচনের ভাবনায় কারো কারো রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। দুই সভাপতি পদপ্রার্থীর নেতাকর্মীরা স্ব স্ব প্রার্থীর জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী বলে দাবি করছেন।
ইতোমধ্যেই ডা. জালাল বিএসএমএমইউ ও ঢাকা শিশু হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে সশরীরে উপস্থিত হয়ে মতবিনিময় করেছেন। এছাড়াও বিএমএ অডিটরিয়ামে ঢাকার সকল হাসপাতালের শীর্ষ স্বাচিপ নেতাদের ডেকে সভা করছেন।
জানা গেছে, ডা. জালাল রোববার থেকে পর্যায়ক্রমে শেরে-ই বাংলা নগর, মহাখালী ও পুরান ঢাকার মেডিকেল কলেজ, হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে প্রচারণা চালাবেন। বিভিন্ন জেলার স্বাচিপের নেতাকর্মীরাও জালালের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার পক্ষে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। ডা. জালাল শনিবার অথবা রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানা গেছে।
ডা. ইকবাল আর্সলানের অনুসারীরাও সমান তালে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। তিনি বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে আসন্ন স্বাচিপ সম্মেলনকে সফল করার আহ্বান জানানোর মধ্য দিয়ে প্রচার প্রচারণার কাজটি সেরে নিচ্ছেন। অনেক দিন ধরে নেতৃত্বে থাকায় তিনি সকলের কাছে পরিচিত। ডা. আর্সলান সভাপতি পদপ্রত্যাশী হলেও প্রধানমন্ত্রী সরে দাঁড়াতে বললে নেত্রীর প্রতি সম্মান জানিয়ে সরে দাঁড়াবেন বলে জানান।
শুক্রবার ডা. ইকবাল আর্সলান তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেন, প্রিয় সহকর্মীবৃন্দ, স্বাচিপ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সংগঠনের দুই একজন জ্যেষ্ঠ নেত্রীবৃন্দ যে নোঙরামি শুরু করেছেন তা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং সংগঠনের জন্য দুর্ভাগ্যজনক। সংগঠনের ক্ষতি না করতে সবার কাছে অনুরোধ রইল। এর জবাবে ডা. জালালের অনুসারী ডা. জুলফিকার লেনিন তার ফেসবুকে লিখেন, অনেকে আমার দায়িত্বপূর্ণ অবস্থানের কথা মনে করিয়ে দিয়ে বোঝাতে চেয়েছেন, আমি যেনো নোঙরামি না করি। আমি বলেছিলাম, অধ্যাপক ইকবাল আর্সলান জিততে পারবেন না, আমি ইকবাল আর্সলান স্যারকে পরবর্তী বিএমএ’র সভাপতি চাই, স্বাচিপ নির্বাচনে আমার সভাপতি প্রার্থী ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, আমার প্রার্থী জিতবেই ইনশাআল্লাহ, যিনি জামায়াতকে প্রমোট করেছেন, যিনি নিবেদিত প্রাণ নেতা-কর্মীদের অপমান ও বঞ্চিত করেছেন, যিনি সংগঠনের কাঠামো ভেঙে দিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে আমার অবস্থান। এই বক্তব্যগুলোর কোত্থাও কী একটিও অশালীন শব্দ ব্যবহার হয়েছে? যাই হোক আমার বক্তব্যে অনেকে কষ্ট পেয়েছেন সে জন্য আমি লজ্জিত, বিশেষ করে ইকবাল আর্সলান স্যার, যিনি সরাসরি আমার শিক্ষক, আমি ওনার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। কিন্তু শেষ কথা হলো-স্বাচিপের সম্মেলনে সভাপতি পদে আমার প্রার্থী ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনকে আমরা জেতাবোই ইনশাআল্লাহ। সবাই সঙ্গে থাকবেন। জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু-জয় শেখ হাসিনা।
এমইউ/জেডএইচ/আরআইপি