ভিডিও EN
  1. Home/
  2. স্বাস্থ্য

আর্সেনিকের প্রভাবে শিশুর নিউমোনিয়ার ঝুঁকি দ্বিগুণ

প্রকাশিত: ১২:৩৪ পিএম, ০৫ নভেম্বর ২০১৫

আর্সেনিক আক্রান্ত পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় দ্বিগুণ। আইসিডিডিআরবি ও আন্তর্জাতিক গবেষকদের এক গবেষণায় এ তথ্য জানা গেছে।  জানা গেছে, গবেষকরা ২০১২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মারাত্মক এবং অতি মারাত্মক নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত এক মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সী একশ’ ৫৩ জন শিশুর প্রস্রাবের নমুনায় আর্সেনিকের ঘনত্ব বিশ্লেষণ করেন।

পাশাপাশি মোট  দুইশ’ ৯৬ জন সুস্থ শিশুর প্রস্রাবের নমুনা পরীক্ষা করে ওই ফলাফল নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের ফলাফলের সঙ্গে তুলনা করেন। গবেষকরা শিশুদের ওজন ও উচ্চতাসহ সংশ্লিষ্ট ঝুঁকিসমূহকে বিবেচনা করার পরও আর্সেনিকের সঙ্গে নিউমোনিয়ার যোগসূত্র খুঁজে পান।

আইসিডিডিআরবির ফিল্ড সাইট মতলব-এ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়য়ের মেইলমেন স্কুল অব পাবলিক হেলথ এবং জনস হপকিন্স ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথের গবেষকদের সহায়তায় এ গবেষণাটি সম্পন্ন হয়।

বিশ্বে নিউমোনিয়া শিশুমৃত্যুর জন্য দায়ী একটি অন্যতম সংক্রামক রোগ। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যুর প্রায় ১৫ শতাংশই এর কারণে ঘটে।

শুধুমাত্র ২০১৩ সালে, সারা বিশ্বে পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রায় নয় লাখ ৩৫ হাজার  শিশু নিউমোনিয়ায় মৃত্যুবরণ করে।  বাংলাদেশে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু মৃত্যুর প্রধানতম কারণ নিউমোনিয়া। যা এই বয়সী শিশুদের মোট মৃত্যুসংখ্যার প্রায় ২৭ শতাংশ।

বাংলাদেশের তিন কোটি ৫০লাখের অধিক মানুষ যে পানি ব্যবহার করছে তাতে আর্সেনিকের ঘনত্ব দেশের জাতীয় মান এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকার চেয়ে বেশি।

গবেষণাটি সাম্প্রতিক সময়ে এনভায়রনমেন্টাল হেলথ জার্নালে প্রকাশিত হয়। এটি যেসব দেশে নিউমোনিয়ার প্রাদুর্ভাব বেশি এবং পানিতে বেশি মাত্রায় আর্সেনিক আছে তাদের জন্য সমস্যা সমাধানে নতুন পথ দেখায়।  এ বিষয়ে আরো গবেষণার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপি নিউমোনিয়ার প্রাদুর্ভাব কমানো সম্ভব হতে পারে বলে গবেষকরা মনে করেন।

এমইউ/জেডএইচ/আরআইপি