ভিডিও EN
  1. Home/
  2. স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক এইডস সম্মেলন সফল করতে দৃঢ় অঙ্গীকার

প্রকাশিত: ০৪:২৪ পিএম, ২৫ অক্টোবর ২০১৫

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত আগামী মাসের তৃতীয় সপ্তাহে অনুষ্ঠিতব্য এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ১২তম আন্তর্জাতিক এইডস সম্মেলন সফল করতে সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়কে সার্বিক সাহায্য, সহযোগিতা ও সমন্বয় সাধনের আহ্বান জানিয়েছেন।

রোববার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে আগামী ২০-২৩ নভেম্বর ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলনের প্রস্তুতি উপলক্ষে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহম্মেদ, বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, গৃহায়ণ ও পূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

এছাড়াও এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, রিহ্যাব, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স, মেট্রো চেম্বার অব কমার্স, বাংলাদেশ ব্যাংক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ মোবাইল ফোন অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ফার্মাসিটিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন, প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন-এর নেতৃবৃন্দ ও সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ১২তম আন্তর্জাতিক এইডস সম্মেলন ২০-২৩ নভেম্বর ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। প্রায় তিন হাজার বিদেশি নীতিনির্ধারক, এইডস বিশেষজ্ঞ, শিক্ষক, গবেষক, উন্নয়নকর্মী, এইডস আক্রান্ত রোগী, আন্তর্জাতিক এনজিও এবং জাতিসংঘের বিভিন্ন সহযোগী সংস্থাসমূহের প্রতিনিধিবৃন্দ চার দিনব্যাপি এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন।

এইডসের চিকিৎসা, এইডস প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি, এইডস আক্রান্ত রোগীদের প্রতি সকলের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন, এইডস প্রতিরোধে আরো সময়োপযোগী নিরন্তর গবেষণা চালানো এবং এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসগরীয় অঞ্চল থেকে চিরতরে এইডস নির্মূল করা এই সম্মেলনের অন্যতম লক্ষ্য।

বাংলাদেশের ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক সম্মেলন। বৃহৎ পরিসরের এই সম্মেলনের সফলতা বাংলাদেশের বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানকে এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনের ব্যাপারে আরো উৎসাহিত করবে বলে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞ ও আয়োজকরা মনে করেন।

এমইউ/বিএ