ভিডিও EN
  1. Home/
  2. স্বাস্থ্য

মানসিকভাবে চাঙা : আমরণ অনশন চললেও আদালতই শেষ ভরসা

প্রকাশিত: ০৬:০১ পিএম, ১৪ অক্টোবর ২০১৫

 ‘তীর হারা ওই ঢেউয়ের সাগর পাড়ি দেবোরে, আমরা কজন নবীন মাঝি, হাল ধরেছি শক্ত হাতে রে---’। বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মূল বেদিতে জটলা পাকিয়ে গলা ছেড়ে গান গাইছিল আনুমানিক ১৬/১৭ বছরের কয়েকজন তরুণ-তরুণী। ঠিক তাদের পাশেই আকাশ নামে এক যুবকের হাতে আইভি ফ্লুইড স্যালাইন চলছিল।

মাসখানেক আগেও ওরা একে অপরের অপরিচিত ছিল। কিন্তু এখন ওরা একে অপরের পরম বন্ধু আত্মার আত্মীয়। তাদের পরিচয় ওরা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী। মেডিকেল কলেজের পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে ভর্তি পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে গত প্রায় একমাস যাবত ওরা রাজপথে।

কখনো কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, কখনো প্রেসক্লাবে কিংবা শাহবাগে এভাবেই চলছে কোমলমতি তরুণ-তরুণীদের দিনলিপি। বুধবার থেকে তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছে। সেিজমিন রাতে পরিদর্শনকালে দেখা গেল অর্ধশত ছাত্রছাত্রীর পাশাপাশি বেশ কিছুসংখ্যক অভিভাবকও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আমরণ অনশন কর্মসূচিতে শরিক হয়েছেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, আমরণ অনশনে থাকা আকাশ নামে এক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। শরীর দুর্বল হয়ে পড়ায় তাকে স্যালাইন দিয়ে রাখা হয়েছে। তারা জানান, একজন অসুস্থ  হলেও তারা মানসিকভাবে চাঙা। সকলে মিলে গল্পগুজব করে, গান গেয়ে, আদালতে মামলার নথিপত্র নিয়ে ছুটোছুটি করে তাদের সময় ভালো কাটছে।

মোহনা রহমান। ভিকারুন নেছা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি ও এইচএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ পেয়ে পাশ করেছেন। ভর্তি পরীক্ষায় ৭২ নম্বর পেয়েও মেধাতালিকায় সিরিয়াল ৯ হাজারের ঘরে। মোহনা জানান, প্রশ্ন ফাঁস হওয়ায় তার মেডিকেল কলেজে ভর্তিও স্বপ্ন পূরণ হয়নি। সুষ্ঠু পরীক্ষা হলে সে অবশ্যই কোনো সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেতো।

পাশেই দাঁড়িয়ে থাকার স্বর্ণা নামের এক শিক্ষার্থীর বাবা বাবু জানান, তার মেয়েটি স্কুলের মোট ৮ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩০ জনের মধ্যে থাকতো। কিন্তু প্রশ্ন ফাঁস হওয়ায় সিরিয়াল প্রায় ১০ হাজারের ওপরে।

কয়েকজন অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গত বছর ঢামেকে ১৫৫ পেয়েও শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ  পেয়েছিল। কিন্তু এবার কী এমন ঘটলো সর্বশেষ যে সুযোগ পেয়েছে তাকে ১৭৫ দশমিক ৫ পেতে হয়েছে?

এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে শিক্ষার্থীরা বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরণ অনশন চলবে। পাশাপাশি আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অধিকার আদায়ের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকতে বলে জানান। আগামী রোববার রিট মামলার শুনানি রয়েছে বলে তারা জানান।

এমইউ/বিএ

আরও পড়ুন