ভিডিও EN
  1. Home/
  2. স্বাস্থ্য

সরকারি উদ্যোগে হিমোফিলিয়া রোগের চিকিৎসা

প্রকাশিত: ১২:৪৭ পিএম, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫

সরকারি উদ্যোগে হিমোফিলিয়া আক্রান্তদের শনাক্তকরণ এবং চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্যখাতে বাংলাদেশের অর্জন আজ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে রোল মডেল। তাই হিমোফিলিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লাখ হোক বা দশ হাজার হোক প্রত্যেককে আমরা সেবা দেবো। এ রোগের প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আগামীতে দেশে হিমোফিলিয়া দিবস পালনের উদ্যোগ নেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন মন্ত্রী।

বুধবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে হিমোফিলিয়া সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান। হিমোফিলিয়া সোসাইটি অব বাংলাদেশ আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মো. নুরুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নুরুল হক এবং পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) অধ্যাপক ডা. সামিউল ইসলাম। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হেমাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. সালমা আফরোজ।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর সমাজে মানুষের জীবনাচরণে যে পরিবর্তন এসেছে তা অনেক রোগের কারণ হিসাবে ভূমিকা রাখে। তাই মানুষের জীবনাচরণে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে পুরোপরি যন্ত্র নির্ভর না হয়ে শারীরিক শ্রমের কাজ বেশি করে করার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান মোহাম্মদ নাসিম।

তিনি বলেন, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, ক্যান্সারসহ বেশ কিছু জটিল রোগ থেকে মুক্ত রাখতে হলে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে। মাদক ও ধুমপান থেকে দূরে থেকে কায়িক শ্রমকে প্রাধান্য দিতে হবে।

সভায় জানানো হয়, হিমোফিলিয়া এক ধরণের অতিরিক্ত রক্তক্ষরণজনিত জন্মগত রোগ। যা নারীদের মাধ্যমে বংশানুক্রমে বিস্তার লাভ করে এবং পুরুষদের হয়ে থাকে। দেশে হিমোফিলিয়া রোগীদের সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই।

ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অব হিমোফিলিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী দেশে প্রায় ১০ হাজার ৬৪০ জন হিমোফিলিয়া রোগী থাকার কথা। এদের অধিকাংশই এখনো চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি।

এ রোগের স্থায়ী নিরাময়যোগ্য কোন চিকিৎসা এখনও আবিষ্কৃত হয়নি। কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে উপশমের ব্যবস্থা রয়েছে। বর্তমানে বিশ্বে এ রোগের একমাত্র চিকিৎসা হচ্ছে ঘাটতি ফ্যাক্টর পূরণ করা।

বাংলাদেশে ফ্যাক্টর ইনজেকশন অত্যন্ত ব্যয়বহুল ও দুষ্প্রাপ্য হওয়ায় অধিকাংশ রোগীর পক্ষে এই ফ্যাক্টর ইনজেকশন কিনে চিকিৎসা নেয়া সম্ভব হয় না। বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে রোগীরা এফএফপি বা ক্রায়োপ্রিসিপিটেট দ্বারা চিকিৎসা করে থাকে। কিন্তু বেশিরভাগ সরকারি হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণে তা সরবরাহের ব্যবস্থা নেই।

এমইউ/এসকেডি/আরআইপি