ভিডিও EN
  1. Home/
  2. স্বাস্থ্য

থাইরয়েড সমস্যা যেভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন

জাগো নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত: ১০:৫২ এএম, ০৬ ডিসেম্বর ২০১৯

থাইরয়েড হলো মানুষের স্বরযন্ত্রের দুই পাশে অবস্থিত একটি গ্রন্থির নাম। এই গ্রন্থি থেকে থাইরয়েড হরমোন নিঃসৃত হয়, যা বিপাক ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ এবং শরীরের স্বাস্থ্যকর ওজন ও শক্তি বজায় রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

থাইরয়েড হরমোন শরীরের পক্ষে অত্যাবশ্যকীয়। শরীরের জন্য এই হরমোনের একটি নির্দিষ্ট মাত্রা আছে। ওই নির্দিষ্ট মাত্রার থেকে কম বা বেশি থাইরয়েড হরমোন উৎপাদিত হলেই শরীরে নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়।

থাইরয়েডে আক্রান্ত হলে দুই ধরনের রোগ হয়। হাইপোথাইরয়েডিজম (আন্ডারেক্টিভ থাইরয়েড গ্লান্ড) এবং হাইপারথাইরয়েডিজম (ওভারেক্টিভ থাইরয়েড গ্লান্ড)। হাইপোথাইরয়েডিজম বা আন্ডারেক্টিভ থাইরয়েড রোগে শরীরের ওজন বেড়ে যেতে পারে। অন্যদিকে, হাইপারথাইরয়েডিজম বা ওভারেক্টিভ থাইরয়েড রোগে ওজন কমে। এ দুটি রোগের কোনোটিই স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ। তাই থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি।

থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে রাখার জরুরি একটি উপাদান হলো প্রোটিন। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অবশ্যই প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার রাখতে হবে। আয়োডিনযুক্ত খাবার থাইরয়েডের সমস্যা কমাতে অত্যন্ত কার্যকর। এক্ষেত্রে আয়োডিনযুক্ত লবণ ব্যবহার করে রান্না করা যেতে পারে।

এছাড়া ডিম, মুরগির মাংস, লেবু, ডাল, দুগ্ধজাত দ্রব্য, গাজর, কলা, দুধ, সামুদ্রিক মাছ, স্ট্রবেরি, শাকপাতা আর মৌসুমি সবজিতে প্রচুর পরিমাণে আয়োডিন থাকে। তাই এই খাবারগুলো খেতে হবে।

থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে সঠিক ডায়েটের সঙ্গেই নিয়মিত শরীরচর্চা প্রয়োজন। সাঁতার, হাঁটা, দৌড়ানো বা সাইকেল চালানো থাইরয়েডের সমস্যা কমাতে অত্যন্ত কার্যকরী হতে পারে। থাইরয়েড গ্রন্থির ভালোভাবে কাজ করার জন্য রাতে পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত জরুরি।

অনেকেই আজকাল কাজের চাপে রাতে জেগে থেকে দিনে বা ভোরের দিকে ঘুমোতে যান। যদি দিনের বেলায়ও পর্যাপ্ত ঘুম হয়, সে ক্ষেত্রে কোনো ক্ষতি নেই। তবে থাইরয়েডের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পর্যাপ্ত ঘুম দরকার!

থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণের জন্য খাবার তালিকা থেকে জাঙ্ক ফুড বাদ দেয়ার চেষ্টা করতে হবে। কারণ, এতে কোনো পুষ্টিমান নেই, আছে কেবল ওজন বৃদ্ধির উপকরণ। সেই সঙ্গে চিনিও বাদ দিতে হবে। রিফাইন্ড আটা-ময়দা ও চিনি দিয়ে তৈরি ক্যান্ডি, চকলেট, মাফিন ও অন্যান্য বেকারি আইটেম বর্জন করতে হবে। এছাড়া প্রক্রিয়াজাত খাবার, অতিরিক্ত চর্বি ও ক্যালোরিযুক্ত খাবারও এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতে হবে।

এমএসএইচ/এমএস