মেডিকেলে ভর্তি : ফুরফুরে প্রাইভেট কর্তৃপক্ষ
চলতি বছর মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থী ন্যূনতম পাস নম্বর (লিখিত ১০০ নম্বরের মধ্যে ৪০নম্বর) পেয়ে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করেছে। যা গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশী। ফলে এবার শিক্ষার্থী পেতে তেমন সমস্যা হবে না প্রাইভেট মেডিকেল কলেজের। তাই ফুরফুরে মেজাজে রয়েছেন প্রাইভেট কর্তৃপক্ষ। প্রাইভেট মেডিকেল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএমসিএ) মহাসচিব শাহ মোহাম্মদ সেলিম বলেছেন, ‘উই আর নট আনহ্যাপি’। এবার ষ্ট্যান্ডার্ড প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা হয়েছে। গতবারের চেয়ে দ্বিগুণ সংখ্যক শিক্ষার্থী পাস নম্বর পেয়ে ভর্তিযোগ্য হয়েছে। ফলে এবার শিক্ষার্থী পেতে তেমন কোন সমস্যা হবে না বলে আশা করছি।
তিনি আরো জানান, রাজধানীর তিনটি মেডিকেল কলেজসহ মোট ১০টি কলেজে বিপিএমসিএর চিকিৎসকরা প্রতিনিধি পাঠিয়ে পরীক্ষাগ্রহণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষন করেছেন। পরীক্ষার হলে বা বাইরে প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোন প্রমাণ তারা পাননি বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
সোমবার রাতে জাগো নিউজের এ প্রতিবেদক সামগ্রিক পরীক্ষা গ্রহণ কার্যক্রম, প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ও সামগ্রিক ফলাফল সম্পর্কে তার মূল্যায়ন জানতে চাইলে তিনি জাগো নিউজকে এ সব কথা বলেন।
তিনি জানান, গত বছরের ভর্তি পরীক্ষায় মোট ৬৬ হাজার ৯৮৭ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। স্বাস্থ্য অধিদফতর লিখিত পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে ৪০ নম্বর পাওয়ার বাধ্যবাধকতা বেঁধে দিয়েছিল। গতবারের ভর্তি পরীক্ষায় নির্ধারিত নম্বর পেয়ে পাস করে মাত্র ২২ হাজার শিক্ষার্থী। অথচ এর আগের বছর পাশকৃত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৩০ হাজার। এ কারণে সে বছরই তারা আসন অনুপাতে ভর্তিযোগ্য শিক্ষার্থী পাননি।
ফলাফল বিপর্যয়ের ফলে গত দুই বছর যাবত বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর দুর্দিন চলছিল। শুক্রবার অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার আগে পর্যন্ত তারা টেনশনে ছিলেন। এবার সে খরা কাটবে বলে সকলেই আশা করছেন। তাছাড়া চলতি বছর মোট আসনের শতকরা ৫০ ভাগ আসনে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর প্রকাশিত হেলথ বুলেটিন-২০১৪ অনুসারে দেশে বেসরকারি পর্যায়ে ৫৫ মেডিকেল ও ১৮ ডেন্টাল কলেজে মোট আসন সংখ্যা প্রায় ছয় হাজার। মোট আসনের মধ্যে মেডিকেল কলেজে চার হাজার ৮৫০ ও ডেন্টালে ১০৬৫। তবে বিভিন্ন সময় আসন সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে বর্তমানে আসন সংখ্যা বেশ কিছু সংখ্যক বেড়েছে।
বিপিএমসিএ মহাসচিব জানান, সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর পর বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি শুরু হবে বলে তিনি জানান। আবেদনপত্র গ্রহণ শেষে মেধাতালিকার ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে বলে তিনি জানান।
এমইউ/এআরএস/এএইচ/পিআর