ভিডিও EN
  1. Home/
  2. স্বাস্থ্য

৫০টি আইসিইউ শয্যা বাড়ছে ঢামেকে

মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল | প্রকাশিত: ০৪:৪৩ পিএম, ০৬ আগস্ট ২০১৯

রাজধানীসহ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়া এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে জরুরিভিত্তিতে অর্ধশত ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) বেড বরাদ্দ দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

মুমূর্ষু ডেঙ্গু রোগীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে আগামী দু-তিনদিনের মধ্যেই ৫০টি আইসিইউ বেড চালু হচ্ছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের হসপিটাল সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট অপারেশন প্লান (ওপি) লাইন ডিরেক্টর ডা. সত্যকাম চক্রবর্তী এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘গতকাল (সোমবার) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেন্ট্রাল মেডিসিন স্টোর ডিপো (সিএমএসডি) থেকে ৫০টি আইসিইউ বেড ও সরঞ্জামাদি বুঝে নেয়। ‘

তিনি বলেন, ডেঙ্গু রোগীদের মৃত্যুঝুঁকি প্রতিরোধকল্পে জরুরিভিত্তিতে আইসিইউয়ের এই অর্ধশত বেড দ্রুত স্থাপন ও চালুর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে ঢামেক হাসপাতালে আইসিইউতে মোট বেড সংখ্যা দাঁড়াবে ৮২টি।

চলতি বছর ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। প্রতিদিন শত শত রোগী ভর্তি হচ্ছে রাজধানীসহ সারাদেশের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে। গত দুই মাসেরও কম সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চসংখ্যক তিন হাজারেরও বেশি ডেঙ্গু রোগী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়।

ঢামেক হাসপাতাল ও রোগীর স্বজনদের হিসাবের ভিত্তিতে শুধু ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কমপক্ষে ১৫ জন ডেঙ্গুতে মারা গেছেন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) তথ্য অনুসারে চলতি বছর ডেঙ্গু জ্বরে সারাদেশে মাত্র ১৮ জন মারা গেছেন। তবে বেসরকারি হিসাবে মৃতের সংখ্যা এর থেকে তিনগুণেরও বেশি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সারা দেশে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হচ্ছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এ হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীদের অনেকেরই আইসিইউয়ের সাপোর্টের প্রয়োজন পড়ছে। কিন্তু আইসিইউ শয্যার অপ্রতুলতার কারণে বেশ কয়েকজন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়। জরুরিভিত্তিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে ৫০টি আইসিইউ শয্যা বরাদ্দ দিল স্বাস্থ্য অধিদফতর।

এদিকে ঢাকার ক্রমবর্ধমান ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ মোকাবেলার লক্ষ্যে আজ মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদফতরে নিয়মিত আলোচনা সভা হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল কালাম আজাদ, অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা, পরিচালক এম আই এস ডক্টর সমীর কান্তি সরকার, হসপিটাল সার্ভিস ম্যানেজমেন্টে অপারেশন প্লান (ওপি) লাইন ডক্টর সত্যকাম চক্রবর্তী ও জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল কর্মসূচির দায়িত্বপ্রাপ্ত ডা. আখতারুজ্জামান প্রমুখ।

সভায় ঢামেকে নতুন ৫০টি আইসিইউ শয্যা সংযোজন নিয়ে আলোচনা হয়। এ ছাড়া ঈদের ছুটিতে যারা ঢাকা ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে যাবেন, তাদের করণীয়বিষয়ক একটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, যা সাধারণ জনগণের কাছে এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেবে বিটিআরসি।

ঈদের ছুটিতে সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের হেল্প ডেস্ক খোলা রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে সভায়। জেলা-উপজেলা পর্যায়ের ডেঙ্গু রোগের স্থানীয়ভাবে ন্যাশনাল গাইডলাইন অনুযায়ী চিকিৎসা নিশ্চিত করা এবং ঈদের ছুটিতে কমিউনিটি ক্লিনিকের সার্বক্ষণিক সেবা চালু রাখার জন্য প্রয়োজনীয় জনবল ও লজিস্টিক নিশ্চিত করার বিষয়ে সভায় সিদ্ধান্ত হয়।

এমইউ/জেডএ/এমকেএইচ

আরও পড়ুন