হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা প্রায় ৫ হাজার
চলতি বছরে সাড়ে ছয় মাসে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা পাঁচ হাজারের ঘর ছুঁই ছুঁই করছে। ১ জানুয়ারি থেকে আজ ১৬ জুলাই পর্যন্ত ৪ হাজার ৮৫২ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন।
হাসপাতালে ভর্তি মোট রোগীর মধ্যে জানুয়ারিতে ৩৮, ফেব্রুয়ারিতে ১৮, মার্চে ১৭, এপ্রিলে ৫৮, মে'তে ১৯৩, জুনে ১ হাজার ৭৬১ এবং চলতি মাসের ১৬ জুলাই পর্যন্ত ২ হাজার ৭৬৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে এপ্রিলে দু'জন ও চলতি মাসে ১ জনের মৃত্যু হয়। বর্তমানে ১ হাজার ২২ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ১৭১ জন ভর্তি হন।
আরও পড়ুন>> ১৮ দিন আগেই ডেঙ্গু আক্রান্তের রেকর্ড ভঙ্গ!
স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার জানান, রাজধানীর অর্ধশতাধিক সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল থেকে নিয়মিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত ও ভর্তি রোগীর তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ডেঙ্গু নিশ্চিত হলেই কেবল তা গণনায় আসছে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারি হিসেবে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা হাজার পাঁচেক হলেও বাস্তবে এ সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হবে। কারণ অনেকেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসকদের চেম্বারে যাচ্ছেন। বিগত বছরের তুলনায় চলতি বছর ডেঙ্গুর প্রকৃতি ও ধরন পাল্টে যাওয়ায় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এবার জ্বর হওয়ার সাথে সাথে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন>> রাজধানীতে রোদেও ডেঙ্গু, বৃষ্টিতেও ডেঙ্গু
স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সর্বাধিক ৬১১ জন ভর্তি হয়। এছাড়া মিটফোর্ড হাসপাতালে ২৫২, ঢাকা শিশু হাসপাতালে ১১২, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ৩১৭, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালে ৩৪৯, বারডেম হাসপাতালে ৭৭, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ৯৬, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১১৫, বিজিবি হাসপাতালে ১৫২, সিএমএইচে ১৪১ ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ১৬ এবং বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ২ হাজার ৫৭৬ জন ভর্তি হন।
ঢাকার বাইরে ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় ২০ জন, চট্টগ্রামে ৪ জন ও খুলনা বিভাগে ১৪ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।
এমইউ/এমএসএইচ/এমএস