২ জুলাইয়ের মধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ধ্বংসের নির্দেশ
চলতি বছরের ২ জুলাইয়ের মধ্যে রাজধানীসহ সারাদেশের ফার্মেসি থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সংগ্রহ করে তা ধ্বংসের নির্দেশনা জারি করেছে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর। একই সাথে মেয়াদোত্তীর্ণ, নকল, ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধের বিরুদ্ধে চলমান ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত রাখা হবে।
রোববার (২৩ জুন) সকালে রাজধানীর মহাখালীর ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ প্রত্যাহার ও ধ্বংসের বিষয়ে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় ও আলোচনা সভায় এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে ওষুধ উৎপাদনকারী, সরবরাহকারী, ক্রেতা, ভোক্তা, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, ভোক্তা সংরক্ষণ অধিকারের কাছে সহায়তা চাওয়া হয়েছে। একই সাথে নকল ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য সহায়তা কামনা করেছে অধিদফতর।
ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির সাধারণ সম্পাদক এস এম শফিউজ্জামান ও বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি ছাদেকুর রহমান ও ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক, র্যাব হেডকোয়াটার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিল সভাপতি ও সচিব অংশগ্রহণ করেন।
সভায় মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ প্রত্যাহার ও ধ্বংসের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা শেষে বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিষয়গুলো মধ্যে রয়েছে- ফার্মেসিতে সংরক্ষিত মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ অনতিবিলম্বে ফেরত দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ওষুধ প্রস্তুতকারী আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ফার্মেসির মালিক পরিচালনা নিয়োজিত ব্যক্তিগণ অবহিত করবেন এবং উল্লেখিত স্থাপনের নিমিত্তে ফেরত প্রদান করবেন। সংশ্লিষ্ট ওষুধ প্রস্তুতকারী আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ২ জুলাইয়ের মধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ প্রকৃতি থেকে সংগ্রহ করে যথা নিয়মে ধ্বংস করে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতি ও রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ বরাবর ছক তৈরি করে প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
ছক অনুযায়ী উৎপাদনকারী বা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের নাম, ওষুধের বাণিজ্যিক নাম ও জেনেরিক নাম, ব্যাচ নম্বর, মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ, ওষুধের পরিমাণ, ওষুধ ধ্বংসের তারিখ ও মন্তব্য জানাতে হবে।
এমইউ/আরএস/এমএস