চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে প্রয়োজন সচেতনতা
বর্ষা মৌসুম এডিস মশার বিস্তার ও প্রজননের সবচেয়ে অনুকূল সময় -এ বিষয়ে সতর্ক হওয়ার এখনই সময় উল্লেখ করে চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সাধারণ মানুষদের সচেতনতার পাশাপাশি সতর্ক থাকতে হবে বলে।
বুধবার (১৫ মে) ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনিসিসি) অঞ্চল-১ এর উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টরের উত্তরা কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া বিষয়ক অবহিতকরণ সভায় বিশেষজ্ঞ আলোচকরা এসব কথা বলেন। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ও স্বাস্থ্য অধিদফতর এ সভার আয়োজন করে।
ডিএনসিসির অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম ফকিরের সভাপতিত্বে সভায় ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রি. জেনারেল মমিনুর রহমান মামুন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল কর্মসূচির মেডিকেল অফিসার ডা. মো. রাশিদুজ্জামান খান, ডিএনসিসির স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইমদাদুল হকসহ ওয়ার্ড কাউন্সিল ও সমাজের বিভিন্ন স্তরের স্টেক হোল্ডাররা উপস্থিত ছিলেন।
ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া বিষয়ক অবহিতকরণ সভায় বক্তারা বলেন, এডিস মশা সাধারণত বাসা-বাড়িতে ফুলের টব, টায়ার, ফ্রিজ, এসিতে জমে থাকা পানিতে জন্মায়। এসব পরিষ্কারে নগরের প্রত্যেক নাগরিককে সচেতন হতে হবে। নিজ বাড়ির আঙিনা ও চারপাশও পরিষ্কার রাখতে হবে। তাহলে মশা জন্মাবে না। মশার ওষুধ ছিটানোর পাশাপাশি ঘুমানোর সময় মশারি টাঙাতে হবে।
তারা আরও বলেন, সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগের পাশাপাশি এ বিষয়ে নাগরিক সচেতনতার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নগরের প্রত্যেক নাগরিককে সচেতন হতে হবে। নিজ বাড়ির আঙিনা ও চারপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে। ঘুমানোর সময় মশারি টাঙাতে হবে।
চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্তের ক্ষেত্রে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা ও পরামর্শ পেতে প্রয়োজনে ০১৭৮৭৬৯১৩৭০ নম্বরে যোগাযোগ করার আহ্বান জানানো হয়।
এএস/আরএস/জেআইএম