২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশ জলাতঙ্কমুক্ত হবে
২০২২ সালের মধ্যে সারাদেশ থেকে কুকুরের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া জলাতঙ্ক রোগ নির্মূল করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, জলাতঙ্ক একটি মারাত্মক ব্যাধি, যা একবার হলে মৃত্যু অনিবার্য। সাধারণত কুকুরের কামড় থেকেই ৯০ ভাগ জলাতঙ্ক রোগ হয়। কিন্তু কুকুর আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। প্রভুভক্ত প্রাণি বিধায় কুকুর হত্যা করাও সম্ভব নয়।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকালে রাজধানীর ফার্মগেটের খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটশনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত ‘জলাতঙ্ক রোগ নির্মূলের লক্ষ্যে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে ব্যাপক হারে কুকুরের টিকাদান কার্যক্রম’ এর উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, জলাতঙ্ক রোগ যাতে না হতে পারে এবং কুকুরকেও যেন হত্যা করতে না হয় -এ জন্য কুকুরকে টিকা দেওয়ার মাধ্যমে দেশ থেকে জলাতঙ্ক সমস্যা নির্মূল করা হবে। আজকের এ টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধনের মাধ্যমে আশা করা যাচ্ছে, আগামী ২০২২ সালের মধ্যেই গোটাদেশ থেকে কুকুরের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া জলাতঙ্ক রোগ নির্মূল করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, এ কার্যক্রমের আওতায় প্রায় ১২ লাখ ৩৮ হাজার কুকুরকে জলাতঙ্কের প্রতিষেধক টিকা দেয়া হয়েছে। আগামী ১৪ মে থেকে ২০ মে ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সকল ওয়ার্ডে কুকুরের ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে প্রায় ১৬ লাখ কুকুর রয়েছে। এ কুকুরগুলোর মধ্য থেকে শতকরা ১ ভাগ কুকুরের কামড়ে জলাতঙ্ক রোগ হয়ে থাকে। কুকুর ছাড়াও বিড়াল, বেজি, শিয়াল বা বানরের কামড়েও জলাতঙ্ক হতে পারে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। এছাড়া মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু, মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. হীরেশ রঞ্জন ভৌমিক এবং প্রখ্যাত লেখক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ উপস্থিত ছিলেন।
এমইউ/আরএস/পিআর