হাজার টাকায় স্বাস্থ্য পরীক্ষার সুযোগ
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন, মহান স্বাধীনতা দিবস ও বিশ্ব কিডনি দিবস উপলক্ষে মাসব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ইনসাফ বারাকাহ কিডনি অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতাল। কর্মসূচির অংশ হিসেবে মাত্র ১ হাজার টাকায় হেলথ চেকআপের (স্বাস্থ্য পরীক্ষা) সুযোগ দিচ্ছে তারা। হেলথ চেকআপের আওতায় আল্ট্রাসনোগ্রাম, ইসিজি, সিরাম ক্রিয়েটিনিন, সিবিসি, আরবিএস ও ইউএনআরই পরীক্ষার সুযোগ থাকবে।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) রাজধানীর স্থানীয় এক হোটেলে আয়োজিত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে মাসব্যাপী এ কর্মসূচির কথা জানান হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফখরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আগামীকাল ১৩ মার্চ (বুধবার) থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত মাসব্যাপী এ কর্মসূচি চলবে। এছাড়া প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসা পরামর্শ দেয়া হবে।
জানানো হয়, ক্যাম্পে রেজিস্ট্রেশনভুক্ত রোগীদের কিডনি সম্পর্কিত সিরাম ক্রিয়েটিনিন ইউরিন আর ই পরীক্ষা ও ডেন্টাল চেকআপ বিনামূল্যে করা হবে। বিভিন্ন অপারেশনের শতকরা ২৫ ভাগ পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ৫০ ভাগ ছাড় দেয়া হবে এবং ৩০ হাজার টাকা প্যাকেজে কিডনির পাথর অপারেশন ও ২২ হাজার টাকায় প্রোস্টেট অপারেশন করা হবে।
অধ্যাপক ডা. ফখরুল ইসলাম জানান, আগামী ১৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও শিশু দিবস উপলক্ষে শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা বিনামূল্যে চিকিৎসা পরামর্শ দেয়া হবে এবং হতদরিদ্র শিশুদের মধ্য থেকে ৫ জনকে সুন্নতে খাতনা মুসলমানি বিনামূল্যে করা হবে।
এছাড়া ১৪ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা বিনামূল্যে চিকিৎসা পরামর্শ প্রদান করবেন। কিডনি রোগ সম্পর্কে জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১ লাখ লিফলেট বিতরণ, ফেস্টুন ও ব্যানার লাগানো হবে।
মতবিনিময় সভায় ন্যাশনাল কিডনি ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডাক্তার ফিরোজ খান, ইনসাফ বারাকা কিডনি অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতাল লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ আলতাফ হোসেন ও হাসপাতালের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. সোহরাব আকন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় অধ্যাপক ডাক্তার মোহাম্মদ ফিরোজ খান বলেন, অসংক্রামক রোগগুলোর মধ্যে কিডনি রোগ অন্যতম, প্রতিদিই বৃদ্ধি পাচ্ছে এ রোগের প্রকোপ। বিশ্বের প্রায় ৮৫ কোটি মানুষ বিভিন্ন ধরনের কিডনি রোগে ভুগছেন। প্রতিবছর ২৪ লাখ মানুষ ক্রনিক কিডনি ডিজিস বা দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগে মারা যাচ্ছে। অন্যদিকে প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ লোক আকস্মিক কিডনি রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
তাদের মধ্যে প্রতিবছর প্রায় ১৭ লাখ রোগীর অকাল মৃত্যুবরণ করেন। এছাড়া আকস্মিক কিডনি বিকল ও দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের কারণে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ ও হেপাটাইটিস ইত্যাদি রোগের ঝুঁকি বহুগুণে বেড়ে যায়।
তিনি বলেন, কিডনি বিকল রোগের সর্বোত্তম চিকিৎসা হলো কিডনি সংযোজন। ১৯৫৪ সালে মানবদেহে প্রথম কিডনি সংযোজন শুরু হয়। বাংলাদেশে ১৯৮২ সালে প্রথম কিডনি সংযোজন শুরু করা হয়।
মাসব্যাপী এ কর্মসূচির সেবা পেতে ৪৯৩৫০১৮০ ও ০১৯৭৮০৯৮০৮১ নম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এমইউ/আরএস/এমএস