‘ডায়াবেটিস রোগীর ৪০ শতাংশ কিডনি রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন’
কিডনি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন অর রশিদ বলেছেন, ‘ডায়াবেটিস হচ্ছে নীরব ঘাতক। এর মাধ্যমে মানবদেহে জটিল রোগ ধারণ করে। ডায়াবেটিসের কারণে মানুষের কিডনি পর্যন্ত নষ্ট হয়ে যায়। এ রোগে আক্রান্ত ৪০ শতাংশ মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।’
শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মিরপুরে কিডনি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশে তিন দিনব্যাপী আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে সেমিনারের উদ্বোধন ঘোষণা করেন তিনি।
ডা. হারুন অর রশিদ বলেন, বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত কিডনি রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানবদেহে কিডনি রোগ দেখা দিলে অনেকে বাঁচার আশা ছেড়ে দেন। অথচ উন্নত বিশ্বে ও আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশে (ভারত) কিডনি রোগের উন্নতমানের চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু হলেও আমরা অনেক পিছিয়ে রয়েছি।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ বয়স বাড়লেই ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাদের মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষের কিডনি রোগ ধারণ করে থাকেন। অনেকের কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়ার পথে। দেশে কিডনি প্রতিস্থাপন বা স্থানান্তরে উন্নত চিকিৎসাসেবা দিতে দেশি-বিদেশি দাতা সংস্থার সহায়তায় কিডনি ফাউন্ডেশন এ কার্যক্রম শুরু করেছে। আশা করছি, কিডনি রোগের উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা সারাদেশে চালু হবে।
সেমিনারে জাতীয় হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা জাতীয় অধ্যাপক ব্রি. (অব.) আব্দুল মালেক বলেন, মানুষ চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ কিনতে অর্থ ব্যয় করতে প্রস্তুত। অথচ সচেতনতা অবলম্বন করতে চরম অনীহা দেখান। এ কারণে প্রতিনিয়ত দেশে রোগী ও রোগের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, মানুষ বাজে অভ্যাস পরিহার, পরিমিত ও ভালো খাবার গ্রহণ এবং পরিমিত শারীরিক পরিশ্রম করার মাধ্যমে সুস্থ থাকতে পারেন। ভালো চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার মতো জরুরি মানুষকে সুস্থ থাকতে সচেতন করে তোলা। এ জন্য সরকার ও সংশ্লিষ্ট সকলকে কাজ করতে হবে। এর মাধ্যমে রোগ ব্যাধি হ্রাস পাবে, মানুষকে সুস্থ রাখা সম্ভব হবে।
কিডনি ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিসেস টিনি ফেরদৌসের সভাপতিত্বে সেমিনারে চিকিৎসক, মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থী, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। আগামী ১৮ ফেব্রয়ারি এ সেমিনারের সমাপনী ঘোষণা করা হবে।
এমএইচএম/আরএস/এমএস