ভিডিও EN
  1. Home/
  2. স্বাস্থ্য

ভিটামিন ‘এ’ ক্যাম্পেইন ফেব্রুয়ারিতে

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ০৮:১২ পিএম, ২০ জানুয়ারি ২০১৯

গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় স্থগিত হওয়া ভিটামিন ‘এ’ক্যাম্পেইন ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হতে পারে। রোববার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে পরিবর্তিত তারিখের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়। তবে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের গ্রিন সিগন্যাল পেলে দিনক্ষণ চূড়ান্ত হবে।

দেশীয় কোম্পানির তৈরি ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। যে ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে তার মেয়াদ ২০২১ সাল পর্যন্ত রয়েছে। নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

রাতকানা রোগ প্রতিরোধে জাতীয় পুষ্টি কর্মসূচির আওতায় গতকাল ১৯ জানুয়ারি রাজধানীসহ সারাদেশে ৬-১১ মাস বয়সী এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর নির্ধারিত দিন ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ভারতের একটি কোম্পানি থেকে আমদানি ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় স্বাস্থ্য অধিদফতর কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পেইন স্থগিত করে।

এ ঘটনায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. এনায়েতুর রহমানকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়।

নতুন দিনক্ষণ নির্ধারণের ব্যাপারে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ রোববার রাতে জাগো নিউজকে জানান, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে টিকাদান কর্মসূচি পালন করার চিন্তাভাবনা চলছে। তবে চূড়ান্ত দিনক্ষণ এখনও নির্ধারিত হয়নি বলে জানান তিনি।

২০১৬ সালের মার্চ মাসে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে (১ লাখ ৪১ হাজার ডলার যা বাংলাদেশি টাকায় ১ কোটি ২০ লাখ টাকার সমমূল্যের) স্বাস্থ্য অধিদফতরাধীন সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোরেজ ডিপার্টমেন্টের (সিএমএসডি) মাধ্যমে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল কেনার প্রক্রিয়া শুরু হয়।

বিশ্ব ব্যাংকের শর্তানুসারে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল কেনার জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হয়। শর্তানুসারে দরপত্র আহ্বান করলেও ভারতের অ্যাজটেক নামে একটি কোম্পানি সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে কার্যাদেশ পায়। সেখানে আরও শর্ত ছিল ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল সরবরাহের ক্ষেত্রে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের কাছ থেকে এনওসি সংগ্রহ করতে হবে। নিয়মানুসারে তাদের এনওসি পাওয়ার কথা থাকলেও ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রীর একটি নির্দেশনা ও পরবর্তীতে পিপিআরে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল কেনার ক্ষেত্রে দেশীয় কোম্পানিকে অগ্রাধিকার দেয়ার নির্দেশনা উল্লেখ থাকায় ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর ভারতের ওই কোম্পানিকে এনওসি দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এতে মালামাল সরবরাহ করা নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়।

সর্বশেষ আদালত ভারতের ওই কোম্পানিকে এনওসি দিতে নির্দেশনা প্রদান করে। সে অনুসারে কোম্পানিটি ক্যাপসুল সরবরাহ করলে তা বিভিন্ন জেলায় পৌঁছে দেয়া হয়।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, ভারতীয় ওই কোম্পানিটি আগেও ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল সরবরাহ করেছিল। যে ক্যাপসুল নিয়ে জটিলতা সে ক্যাপসুলের মেয়াদ জুন মাসে শেষ হবে।

ওই কর্মকর্তা জানান, শনিবার থেকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলের জাতীয় প্রচারাভিযান শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গত সপ্তাহে তারা বিভিন্ন জেলা থেকে খবর পান সরবরাহ করা ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল একটি আরেকটির গায়ে লেগে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা সরেজমিন গিয়ে এ তথ্যের প্রমাণও পান। এ কারণে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাম্পেইন স্থগিত করা হয়।

এমইউ/এনডিএস/জেআইএম/এসজি

আরও পড়ুন