ঠান্ডা ও সর্দি-কাশি নিয়ে কিছু ভুল ধারণা
শীতকাল মানেই ঠান্ডা লাগা, সর্দি-কাশি! -এমন ভুল ধারণা অনেকের মনেই। এগুলো থেকে বাঁচতে নানা আচরণে পরিবর্তন আনা হয়, বলা হয় এগুলো করা যাবে না। এমন অনেক কিছু ‘মিথ’ রয়েছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা তেমনই কিছু ভুল ধারণা ভেঙে দিয়েছেন গবেষণার মাধ্যমে।
ভিটামিন ‘সি’
বেশি বেশি ভিটামিন ‘সি’ ঠান্ডাকে দূরে রাখে -এ রকম একটা ধারণা অনেকের মধ্যেই রয়েছে। তবে আসল ঘটনা হলো- ভিটামিন ‘সি’ যত বেশিই পান করা হোক না কেন প্রয়োজনের বেশি টুকু শরীর থেকে ইউরিনের সাথে বেরিয়ে যায়। বেশি ভিটামিন ‘সি’ বেশি ভালো -এ রকম কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা এখনো পাওয়া যায়নি।
চুমু খেতে মানা
স্বামী বা স্ত্রী -যেকোনো একজনের সর্দি-কাশি বা ঠান্ডা লাগলে অন্যজন শত ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও ভালোবাসার মানুষটির কাছ থেকে খানিকটা দূরে থাকে, যাতে সে নিজেও যেন অসুস্থ না হয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনুভূতিতে চুমু খাওয়ার ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। কাজেই সর্দি, কাশিতেও চুমু খেতে বা জড়িয়ে ধরতে কোনো বাধা নেই।
অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল সাবান
যেকোনো ইনফেকশন বা সংক্রমণ রোগকে দূরে রাখার প্রথম শর্তই হলো হাত ধোয়া এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা। তবে তাই বলে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল সাবান হতে হবে তা নয়। বরং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল সাবান হাতের ত্বক ও পরিবেশের ক্ষতি করতে পারে।
শীতকালে কি তাড়াতাড়ি সর্দি কাশি হয়?
অনেকেরই ধারণা, শীতকালে গ্রীষ্মকালের চেয়ে তাড়াতাড়ি ঠান্ডা লেগে সর্দি-কাশি হয়, তবে তা ঠিক নয়। তবে গরমকালের ভাইরাস শীতকালের ভাইরাস থেকে আলাদা এ কথা ঠিক। আর সে জন্যই কিছুটা অন্যরকম সচেতনতা অবলম্বন করতে হয় বৈ কি!
আজ কাশি, কাল অসুস্থ?
একটু কাশি হলেই মানুষ অসুস্থ হয় না -যদি না কারো শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। তবে কারো শরীরের ইমিউন সিস্টেম দুর্বল বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলেই কেবল হ্যান্ডশেক, তাদের রুমাল ব্যবহার করা, জড়িয়ে ধরা -এসবের মাধ্যমে ছড়াতে পারে। তবে কারো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যথেষ্ট থাকলে ভয়ের কোনো কারণ নেই।
অসুস্থ অবস্থায় ব্যায়াম?
খেলাধুলা বা ব্যায়াম করা ভালো তা সবাই জানে। অনেকেই ভাবেন -অসুস্থ হলে বা ঠান্ডা লাগলেও ব্যায়াম করলে সেরে যাবে, যা পুরোপুরি ভুল ধারণা। ঠান্ডা লাগলে বা সর্দি-কাশি হলে বিছানায় ঠিক মতো বিশ্রাম নিলেই তাড়াতাড়ি সেরে ওঠা সম্ভব।
সর্দি-কাশি থেকে ইনফ্লুয়েঞ্জা?
সাধারণ ঠান্ডা লাগা আর ইনফ্লুয়েঞ্জাকে -এ দুটোকে অনেকে গুলিয়ে ফেলেন। দুটোর ভাইরাস দু’রকম। তবে সর্দি-কাশির ভাইরাস থাকা অবস্থায় ইনফ্লুয়েঞ্জার ভাইরাসও হতে পারে।
আরএস/পিআর