ভিডিও EN
  1. Home/
  2. স্বাস্থ্য

ডায়াবেটিসের চিকিৎসা মিলবে ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকে

মেসবাহুল হক | প্রকাশিত: ০৯:০৫ পিএম, ২৪ অক্টোবর ২০১৮

>> ৪০-ঊর্ধ্ব বয়সের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত
>> গর্ভকালীন মায়েদের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেশি
>> ডায়াবেটিস নির্ণয়ে বছরে ৪-৫ লাখ ভায়াল স্ট্রিপ প্রয়োজন

সারাদেশের ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকে ডায়াবেটিস নির্ণয়ে গ্লুকোমিটার স্ট্রিপ ক্রয় করতে যাচ্ছে সরকার। এজন্য অর্থ বিভাগের অপ্রত্যাশিত খাত থেকে ২২ কোটি ৪৯ লাখ ৪৫ হাজার টাকা স্বাস্থ্য অধিদফতরের অনুকূলে বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে।

এটি বাস্তবায়িত হলে দেশের ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে বিনা পয়সায় ডায়াবেটিস নির্ণয় ও চিকিৎসাসেবা দেয়া যাবে। অর্থ মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের বাজেট অধিশাখার যুগ্ম সচিব ড. মো. এনামুল হক স্বাক্ষরিত অর্থ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব বরাবর গত ১৮ অক্টোবর পাঠানো এক পত্রে, গ্লুকোমিটার স্ট্রিপ ক্রয়ের জন্য ২২ কোটি ৪৯ লাখ ৪৫ হাজার টাকা অর্থ বরাদ্দ প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হয়।

এর আগে, স্বাস্থ্য অধিদফরের কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ারের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো. আবুল হোসেন খান গত ৯ নভেম্বর স্বাস্থ্য অধিদফতরের মাহাপরিচালক বরাবর লিখিত এক চিঠিতে বলেন, বর্তমানে সারাদেশে ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক চালু রয়েছে। এসব ক্লিনিকে নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল (এনসিডিসি) অপারেশনাল প্লান (ওপি) কর্তৃক গ্লুকোমিটার সরবরাহ করা হয়েছে। কিন্তু উক্ত কমিউনিটি ক্লিনিক সমূহে গ্লুকোমিটার স্ট্রিপ পর্যাপ্ত পরিমাণ সরবরাহ করা হয়নি।

বর্তমানে নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে একটি অন্যতম প্রধান স্বাস্থ্য সমস্যা, যার মধ্যে ডায়াবেটিস অন্যতম। বাংলাদেশের প্রায় এক তৃতীয়াংশ মানুষ যাদের বয়স ৪০-ঊর্ধ্ব, ডায়াবেটিস রোগে ভুগছেন এবং ঝুঁকির মধ্যে আছেন।

তিনি বলেন, এই বিপুল জনগোষ্ঠীর অধিকাংশ গ্রামে বসবাস করেন এবং কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবা গ্রহণ করেন। এছাড়া গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস রোগের ঝুঁকি বেশি। যার কারণে মাতৃমৃত্যুর হার বেড়ে যায়। আমরা কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে বিনামূল্যে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করে এই ধরনের রোগীর চিকিৎসা প্রদানের ব্যবস্থা করে থাকি। সেই লক্ষ্যে গ্লুকোমিটার স্ট্রিপ সরবরাহ করা খুবই জরুরি। ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য বছরব্যাপী মোট চার থেকে পাঁচ লাখ ভায়াল স্ট্রিপ (প্রতি ভায়ালে ২৫টি স্ট্রিপ থাকে) প্রয়োজন।

ওই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে অনুরোধ করেন। ওই অনুরোধে সাড়া দিয়ে অর্থ বরাদ্দ দেয়ার জন্য অর্থ বিভাগকে চিঠি দেয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের বাজেট অধিশাখা।

স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে দুই লাখ ২০ হাজার ভায়াল গ্লুকোমিটার স্ট্রিপের চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। প্রতি ভায়ালের চুক্তি মূল্য ৪৪৯ টাকা ৮৯ পয়সা।

এমইউএইচ/এমবিআর/পিআর

আরও পড়ুন