‘শিশুরা অপুষ্টিতে আক্রান্ত হলেই বেশি মাত্রায় পুষ্টি নয়’
‘শিশুরা অপুষ্টিতে আক্রান্ত হলেই সর্বোচ্চ মাত্রার পুষ্টি সরবরাহ করা ঠিক নয়। শিশু যতখানি অপুষ্টিতে আক্রান্ত হবে ঠিক ততটুকু সহনীয় মাত্রায় পুষ্টি প্রয়োগ করতে হবে। বেশি পুষ্টি প্রয়োগ করলে অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশুর দেহ গ্রহণ করতে পারে না। ফলে বেশি পুষ্টি দেয়ার ফলে শিশুর মৃত্যু হতে পারে।’
বুধবার রাজধানীতে এক সেমিনারে ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের শিশুরোগ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক লায়লা ইয়াসমিন এসব কথা বলেন। প্রতিষ্ঠানটির শিশুরোগ বিভাগ এ সেমিনারের আয়োজন করে।
সেমিনারে বক্তারা বাংলাদেশ ও পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর শিশুরা কী ধরণের অপুষ্টিতে আক্রান্ত হয়- সে বিষয় এবং তার প্রতিরোধ ও প্রতিকার নিয়ে আলোচনা করেন।
অধ্যাপক লায়লা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডা. শ্যামল দেবনাথ ও ডা. শায়ফা লুবনা মিলি। প্রবন্ধে তারা শিশুর অপুষ্টিতে আক্রান্ত হবার তিনটি স্তর-সেভিয়ার, মিল্ট ও অ্যাকিউট অপুষ্টি ও সেগুলোর বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেন।
ডা. শায়ফা লুবনা মিলি বলেন, ‘শিশুরা যে ধরনের পুষ্টির অভাবে পড়ে তা দুটি উপায়ে পূরণ করা যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে সরকারই শিশুদের মাঝে বিনামূল্যে পুষ্টি সরবরাহ করে থাকে। যদি কোনো কারণে তা সরবরাহ বন্ধ হয় বা না পাওয়া যায় তবে চিকিৎসকরা তৈরি করে দিতে পারেন।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিষ্ঠানটির উপাধ্যক্ষ ডা. ফারুকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের সরকার শিশু মৃত্যুর হার প্রায় শূন্যের কোঠায় নিয়ে এসেছে। তবে পুষ্টি বিষয়ে জ্ঞানের অভাবে কিছু কিছু অঞ্চলে তা সম্ভব হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এমডিজি (সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য) অর্জন যথাসময়ে করতে পেরেছি। আশা করি, এসডিজিও (টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা) ঠিক সময়ে অর্জন হবে।’
সেমিনারে কলেজের অধ্যাপক ডা. মঞ্জুরুল কাদের, অধ্যাপক ডা. মেহতাব উল ওদুদ খান, সহযোগী অধ্যাপক ডা. প্রদীপ কুমার দেবনাথ, শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ সহকারী অধ্যাপক ডা. রোজিনা আক্তারসহ প্রায় শতাধিক চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন।
এমইউ/এসআর/পিআর