ভিডিও EN
  1. Home/
  2. স্বাস্থ্য

১০০ নম্বরের পরীক্ষায় মাইনাস ১৮!

মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল | প্রকাশিত: ০৭:৫৭ পিএম, ০৭ অক্টোবর ২০১৮

সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা অর্জনের জন্য ভর্তি পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে ৪০ নম্বর পাওয়া আবশ্যক। গত ৫ অক্টোবর চলতি বছরের এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় ৬৫ হাজার ৯১৯ জন পরীক্ষার্থী আবেদন করলেও অংশগ্রহণ করেন ৬৩ হাজার ২৬ জন।

প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা যায়, অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৪০ নম্বর পেয়েছেন মাত্র ২৪ হাজার ৯৬৮ জন। অর্থাৎ শতকরা হিসাবে পাস নম্বর পেয়েছেন ৩৯ দশমিক ৬১ শতাংশ পরীক্ষার্থী। এ হিসাবে শতকরা ৬০ শতাংশেরও বেশি পরীক্ষার্থী ফেল করেছেন।

স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, ১০০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নপত্রে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় মেধা যাচাইয়ের জন্য প্রতি চারটি ভুলের জন্য ১ নম্বর করে কাটা হয়।

পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের সঙ্গে জড়িত একাধিক কর্মকর্তা জানান, ফেল করা ৩৮ সহস্রাধিক পরীক্ষার্থীর মধ্যে হাজারও পরীক্ষার্থী প্রচুর ভুল উত্তর দিয়েছেন। কারও কারও ভুলের পরিমাণ এত বেশি যে সঠিক ও ভুল উত্তরের যোগ-বিয়োগের শেষ হিসাবে প্রাপ্ত নম্বর মাইনাসে দাঁড়িয়েছে।

মাইনাস নম্বর সর্বোচ্চ কত জানতে চাইলে তিনি জানান, যতদূর মনে পড়ে মাইনাস নম্বর ১৮ পেয়েছে এমন পরীক্ষার্থীও রয়েছে।

এদিকে ৩৬টি সরকারি মেডিকেলে ভর্তির জন্য চার হাজার ৬৮ জন নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৮৭ ও সর্বনিম্ন ৫৭।

স্বাস্থ্য সেক্টরে চিকিৎসাশিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত একজন শিক্ষক বলেন, দিনে দিনে মেধাবীর সংখ্যা কমছে। গত বছরের চেয়ে এ বছর জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে।

তিনি বলেন, এ বছর মানসম্পন্ন প্রশ্ন হয়েছে। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় স্বল্পসংখ্যক আসনের কারণে একজন পরীক্ষার্থী সরকারি মেডিকেলে পড়ালেখার সুযোগ না পেতে পারে এটা স্বাভাবিক। কিন্তু শতকরা ৬০ শতাংশ পরীক্ষার্থী যখন ন্যূনতম ৪০ নম্বর পায় না সেটা মানা কষ্টকর। তদুপরি যখন মাইনাস ১৮/২০ নম্বর পায় যা শুনলে পড়ালেখার দেওলিয়াত্বপনা প্রকাশ পায় বলে মনে হয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।

এমইউ/বিএ/জেআইএম

আরও পড়ুন