মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় সেরাদের সেরা যারা
>> সেরা ১১ জনের মধ্যে ৫ জন মেয়ে
>> মোট নির্বাচিত ৪ হাজার ৬৮ জন
>> সর্বোচ্চ নম্বর ৮৭ ও সর্বনিম্ন ৫৭
চলতি বছর সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় প্রায় ৬৩ হাজারেরও বেশি পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। অংশগ্রহণকারী হাজার হাজার শিক্ষার্থীর মাঝে সর্বোচ্চ নম্বরধারী অর্থাৎ প্রথম ১০ জন শিক্ষার্থী নাম-পরিচয় জানার ব্যাপারে সবারই আগ্রহ থাকে।
সবাই জানতে চান তারা কারা, কত নম্বর বা কোন মেডিকেল কলেজে পড়াশোনার সুযোগ পেলেন এই মেধাবীরা। স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জাগো নিউজের এ প্রতিবেদক জানাচ্ছেন সেসব মেধাবীর নাম-পরিচয়।
অংশগ্রহণকারী মোট ৬৩ হাজার ২৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে শীর্ষস্থান অর্থাৎ প্রথম হয়েছেন ইসমাম সাকিব অর্ণব। ভর্তি পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে তিনি সর্বোচ্চ ৮৭ নম্বর পান। তার রোল নম্বর ২১২৮৩১। মেধাতালিকায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছেন উম্মে সেফা আইরিন। প্রাপ্ত নম্বর ৮৫ দশমিক ৭৫। রোল নম্বর ১৫০৫০২। মেধাতালিকায় তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন সজিব চন্দ্র রায়। তার প্রাপ্ত নম্বর ৮৫ দশমিক ৭৫। রোল নম্বর ১৯০৯৩১। মেধাতালিকায় চতুর্থ স্থান অধিকারীর নাম পরিচয় জানা যায়নি। মেধাতালিকায় পঞ্চম স্থান অধিকার করেছেন ফাহমিদা ইয়াসমিন। প্রাপ্ত নম্বর ৮৫। রোল নম্বর ১৬৪৪২৪। মেধাতালিকায় ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেছেন দীপ্ত আকাশ বিশ্বাস। প্রাপ্ত নম্বর ৮৪ দশমিক ৭৫। রোল নম্বর ১৩২২৫৬। মেধাতালিকায় সপ্তম স্থান অধিকার করেছেন মুশফিকা বিনতে আমিন। প্রাপ্ত নম্বর ৮৪ দশমিক ৭৫। রোল নম্বর ১৬৩৫৩৩।
মেধাতালিকায় অষ্টম স্থান অধিকার করেছেন মো. সাব্বির হোসেন। প্রাপ্ত নম্বর ৮৪। রোল নম্বর ৪০২০৪৭। মেধাতালিকায় নবম স্থান অধিকার করেছেন মোহসিনা জাহান মুন। প্রাপ্ত নম্বর ৮৩ দশমিক ৭৫। রোল নম্বর ১১৮১২৫। মেধাতালিকায় দশম স্থান অধিকার করেছেন মোহতাসিম মারুফ। প্রাপ্ত নম্বর ৮৩ দশমিক ৫। রোল নম্বর ১১০৮৫০। মেধাতালিকায় ১১তম স্থান অধিকার করেছেন সাইয়েদা উম্মে হানি। প্রাপ্ত নম্বর ৮৩ দশমিক ২৫। রোল নম্বর ১৫১৫৩৫। মেধাতালিকায় ১২তম স্থান অধিকার করেছেন মো. আল মুজাহিদুল ইসলাম। প্রাপ্ত নম্বর ৮৩। রোল নম্বর ১৩০৯২৫।
এই ১১ জনই ঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেক) ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।
চলতি বছরের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে রোববার। জাতীয় মেধাতালিকার ভিত্তিতে সরকারি ৩৬টি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছেন ৪ হাজার ৬৮ জন পরীক্ষার্থী। অপেক্ষমান তালিকায় রাখা হয়েছে ৫০০ জনকে।
১০০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নপত্রের ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত সর্বোচ্চ নম্বর ৮৭ ও সর্বনিম্ন ৫৭।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ ও পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন) রোববার দুপুরে ফলাফল প্রকাশের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গত ৫ অক্টোবর সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস প্রথম বর্ষের (২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষ) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। স্বাস্থ্য অধিদফতরের অধীনে কেন্দ্রীয়ভাবে রাজধানীসহ সারাদেশের ১৯টি কেন্দ্রের ২৭টি ভেন্যুর ৮১৪টি কক্ষে ভর্তি পরীক্ষা হয়।
চলতি বছর ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনকারী ৬৫ হাজার ৯১৯ জনের মধ্যে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ছিল ৬৩ হাজার ২৬ জন।
উল্লেখ্য, ১০০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নপত্রে নেয়া পরীক্ষায় পাস নম্বর ৪০। ৪০ নম্বর পেয়ে সরকারি ও বেসরকারি উভয় মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছেন ২৪ হাজার ৯৬৮ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ জানান, জাতীয় মেধাতালিকার ভিত্তিতে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কাছে এসএমএসের মাধ্যমে ফল স্বল্পতম সময়ে পৌঁছে যাবে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য অধিদফতরের ওয়েবসাইট থেকে ফল জানা যাবে।
এমইউ/জেডএ/পিআর