ভিডিও EN
  1. Home/
  2. স্বাস্থ্য

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মন খুলে কথা বলার অপেক্ষায় হাজারো চিকিৎসক

মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল | প্রকাশিত: ১০:৫৫ পিএম, ০৬ অক্টোবর ২০১৮

বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)-এর উদ্যোগে আট বছর পর আগামীকাল (রোববার) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে চিকিৎসকদের মহাসম্মিলন বসছে।

বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠিতব্য এ মহাসম্মিলনে রাজধানীসহ সারাদেশ থেকে দলমত নির্বিশেষে সাড়ে ১০ হাজারেরও বেশি বিএমএর সদস্য যোগদান করবেন। বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিতব্য এ মহাসম্মিলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রথমবারের মতো চিকিৎসকদের এ মহাসম্মিলনে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মালয়েশিয়া কনফেডারেশন ফর মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন ইন এশিয়া অ্যান্ড ওশেনিয়া (সিএমএএও)-এর সভাপতি রাভিন্দ্রান আর. নাইডু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ও প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালিক। প্রধানমন্ত্রীর সামনে বিএমএর প্রায় ৩০ হাজার চিকিৎসকের প্রতিনিধি হিসেবে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করবেন বিএমএর মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী।

শনিবার রাতে জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপকালে ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী চিকিৎসক মহাসম্মিলনের সার্বিক প্রস্তুতির প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, সর্বশেষ ২০১০ সালে বিএমএর মহাসম্মিলন অনুষ্ঠিত হয়। তবে এবার মহাসম্মেলন নয়, মহাসম্মিলন করছি। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনের ধারণ ক্ষমতা অনুসারে বিএমএ’র ৬৬টি সাংগঠনিক জেলা থেকে মোট সাড়ে ১০ হাজার চিকিৎসক এই মহাসম্মিলনে অংশগ্রহণ করবেন।

এ মহাসম্মিলনকে ঘিরে গত কয়েকদিন ধরে বিএমএর সদস্য সিনিয়র ও জুনিয়র চিকিৎসকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। সারাদেশের অসংখ্য চিকিৎসক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে উপস্থিত হয়ে তাদের দাবি জানাতে ও প্রধানমন্ত্রীর মুখের কথা শুনতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় রয়েছেন।

বিএমএ মহাসচিব বলেন, আগামীকালের মহাসম্মিলনে চিকিৎসক সমাজের পক্ষ থেকে কয়েকটি প্রাণের দাবি উত্থাপন করা হবে। রাজধানীসহ সারাদেশে চিকিৎসকের কর্মস্থলে চিকিৎসকরা নিগৃহীত হচ্ছে। প্রথমেই তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানাবেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা ছিল, আন্তঃক্যাডার দ্বন্দ্ব হয় এমন কোনো কাজ যেন কোনো মন্ত্রণালয় না করে। সাধারণ ক্যাডার কম্পোজিশনে ক্যাডার স্ট্রেনথ অনুযায়ী এক নম্বর গ্রেডের পদ থাকে।

তিনি জানান, পুলিশে ২ হাজার ক্যাডার পদ রয়েছে। তাদের এক নম্বর গ্রেডে পদ রয়েছে ১৬টি। প্রশাসন ক্যাডারে ৫ হাজারের মতো ক্যাডার পদ রয়েছে। তাদের ১২০টির মতো এক নম্বর গ্রেডের পদ রয়েছে। অথচ স্বাস্থ্য সেক্টরে ৩০ হাজার ক্যাডার পোস্ট রয়েছে। অথচ ১ নম্বর গ্রেডের পদ মাত্র একটি। এ বৈষ্যম্যটি তুলে ধরে তারা অধিক সংখ্যক ১ নম্বর পদ বৃদ্ধির আবেদন জানাবেন। ক্যাডার স্ট্রেনথ অনুযায়ী তারা ২০০টি এক নম্বর গ্রেডের পদ পাওয়ার দাবি রাখেন বলে জানান।

এহতেশামুল হক চৌধুরী বলেন, প্রশাসন ক্যাডারে যুগ্ম-সচিব এমনকি উপসচিব পদমর্যাদের অফিসাররা সরকারিভাবে গাড়ি পাচ্ছেন, গাড়ি দিতে না পারলে ৪৫ লাখ টাকা গাড়ি কেনার জন্য বিনাসুদে ঋণ দিচ্ছে, গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য মাসে ৪৫ হাজার টাকা দিচ্ছে। অথচ একই পদমর্যাদার (যুগ্ম-সচিব) অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপকরা (উপ-সচিব) এ সুবিধা পাচ্ছেন না। চলতি অর্থবছরের বাজেটে উপ-সচিবদের জন্য ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। অথচ অধ্যাপকরা এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

এছাড়া দাবিসমূহের মধ্যে রয়েছে ২০১০ ও ২০১১ সালে সরকার প্রায় চার হাজার চিকিৎসক অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়। তাদের মধ্যে চাকরিরত অবস্থায় অর্ধেক সংখ্যক চিকিৎসক বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে ক্যাডার হয়ে যায়। তাদের মধ্যে ১ হাজার ২শ’ চিকিৎসক বিসিএস দিতে পারেনি। তাদের বয়স চলে গেছে। এরা ক্যাডার হতে পারেনি। তারা যেদিন চাকরিতে জয়েন করেছেন সেদিন থেকে চাকরি সময়কাল গণণা করা হচ্ছে না। এ সব সমস্যাগুলোর ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে ইতিবাচক কিছু শোনার অপেক্ষায় সবাই অপেক্ষার প্রহর গুণছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এমইউ/জেএইচ

আরও পড়ুন