গর্ভকালীন ভায়াগ্রায় ১১ শিশুর মৃত্যু, গবেষণা বন্ধ
যৌন উত্তেজক ‘ভায়াগ্রা’ অপরিপক্ব ভ্রুণের পরিপক্ব হওয়ায় সহায়তা করবে -এমনটাই আশা করেছিলেন ডাচ গবেষকরা। তবে তাদের আশার ফল বিপরীত হয়েছে। পরীক্ষায় অংশ নেয়া গর্ভবতী নারীদের জন্ম নেয়া ১১ শিশু ফুসফুসের সমস্যায় মারা গেছে। ফলে দীর্ঘদিন গবেষণার পর ২৩ জুলাই ডাচ গবেষকরা এ গবেষণা কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন।
দেশটির মোট ১১টি হাসপাতালের সাথে মিলে আমস্টারডাম ইউনিভার্সিটির ‘অ্যাকাডেমিক মেডিকেল সেন্টার' (এএমসি) এ গবেষণা চালায়। গর্ভের ভ্রুণ বেশি অপরিপক্ব, এমন মায়েদের ওপর প্রয়োগ করা হয় সিলডেনাফিল, সাধারণভাবে যা ‘ভায়াগ্রা’ নামে পরিচিত।
ভায়াগ্রা প্রয়োগে শরীরে রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায়। এএমসি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আগের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ভায়াগ্রা প্রয়োগের ফলে ভ্রুণের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফলে ডাক্তাররা দেখতে চেয়েছিলেন এ ড্রাগের প্রয়োগে ‘ভূমিষ্ঠ না হওয়া শিশুর বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয় কিনা’।
বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘প্রাথমিক পরীক্ষায় দেখা গেছে, শিশুর জন্মের পর এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে।’ এএমসি আরও জানায়, সাম্প্রতিক পরীক্ষায় যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে, তা আগে কখনও দেখা যায়নি।
২০১৫ সাল থেকে ১৮৩ জন গর্ভবতী মায়ের ওপর এ পরীক্ষা চালানো হয়। ৯৩ নারীকে দেয়া হয় ভায়াগ্রা, বাকিদের দেয়া হয় প্লাসিবো নামের অন্য এক ওষুধ। ভায়াগ্রা গ্রহণকারীদের মধ্যে ১৯ জনের সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার পরই মারা যায়। এর মধ্যে ১১ শিশুর মৃত্যু হয়েছে ফুসফুসে অতিরিক্ত রক্তচাপে, যা ভায়াগ্রার কারণেই হয়েছে। এছাড়া ৬ শিশুর বেঁচে থাকলেও তাদের ফুসফুসে সমস্যা রয়েছে।
অন্যদিকে প্লাসিবো গ্রুপের ৯০ বাচ্চা মৃত্যুবরণ করলেও তাদের কারোরই ফুসফুসে সমস্যা ছিল না। এ গ্রুপের বেঁচে থাকা বাচ্চাদের তিনজনের ফুসফুসে একই ধরনের সমস্যা থাকলেও তারা সবাই বেঁচে আছে। সূত্র : ডয়েচে ভেলে।
আরএস/আরআইপি