জুনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ২৫০, মৃত্যু তিনজনের
রাজধানীতে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে। জুন মাসে রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত ২৫০ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। জুলাই মাসের শুরুর দু’দিনেই ৩৯ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন।
চলতি বছরের বছর জানুয়ারি থেকে সর্বশেষ ২ আগস্ট পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩৭৩ জন। তার মধ্যে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের তিনজনই আবার মারা যান জুনে। মৃতদের মধ্যে ১ জন ডেঙ্গু শকড সিন্ড্রোম ও ৩ জন হেমোরেজিক শকডে মারা গেছেন।
বর্তমানে রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ৬৬ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের দায়িত্বশীল সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, গত ২৬ জানুয়ারি রাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএসের বাসিন্দা নার্গিস বেগম (৪৩) ইউনাইটেড হাসপাতালে ডেঙ্গু শকড সিন্ড্রোমে এ মারা যান। ৯ জুন পরীবাগের বাসিন্দা ফারজানা আক্তার (৩৪) রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায়, ২১ জুন তেজগাঁও স্টেশন রোডের বাসিন্দা রোজলিন বৈদ্য (৩১) হলিফ্যামিলি হাসপাতালে ও ২৯ জুন মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা সেঁজুতি (২৬) বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। জুন মাসে মৃতদের সকলেই ডেঙ্গু হেমোরেজিক শকডে মারা গেছেন বলে হাসপাতাল সূত্র নিশ্চিত করে।
মঙ্গলবার এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে স্বাস্থ্য অধিদফতর নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ইনচার্জ ডা.আয়েশা আক্তার বলেন, জুন ও জুলাই মাসে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি থাকে। ডেঙ্গুবাহী এডিস মশার কামড় খেয়ে আক্রান্ত হওয়া থেকে রক্ষা পেতে ইতোমধ্যেই সরকারি ও বেসরকারি পর্য়ায়ে ব্যাপক জনসচেতনতা বৃদ্ধির ( যে সকল স্থানে জমে থাকা পরিস্কার পানিতে ডেঙ্গু মশার লার্ভা জম্মে) কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আগাম সতর্কতা ও জনসচেতনতামূলক ব্যবস্থা গ্রহনে বিগত বছরগুলোর তুলনায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা কম বলে তিনি মন্তব্য করেন।
গত দেড় দশকের বছরওয়ারি ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত ও মৃত্যুর পরিসংখ্যানে দেখা গেছে ২০০২ সালে সর্বোচ্চ ৬ হাজার ২৩২জন আক্রান্ত ও ২০০০ সালে সর্বোচ্চ ৯৩ জনের মৃত্যু হয়।
অনেক বছর পর ২০১৬ সালে হঠাৎ করে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ৬০ জনে বৃদ্ধি পায়। ওই বছর ১৪ জনের মৃত্যু হয়। ২০১৭ সালে আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৭৬৯ জন ও মৃতের সংখ্যা হ্রাস পেয়ে ৮ জনে নেমে আসে।
এমইউ/এনএফ/আরআইপি