পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতি প্রচারে ‘বিষধোঁয়া’
পরোক্ষ ধূমপানের ভয়াবহ ক্ষতি নিয়ে জনসচেতনতামূলক প্রচারণায় ‘বিষধোঁয়া’ নামের একটি টিভি স্পট উদ্বোধন করা হয়েছে।
বুধবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ টিভি স্পটের উদ্বোধন করেন।
পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে ভাইটাল স্ট্র্যাটেজিস ও সরকারের যৌথ অর্থায়নে নির্মিত এ টিভি স্পটটির দৈর্ঘ্য ৩০ সেকেন্ড।
‘বিষধোঁয়া’ নামের স্পটটি আগামী ছয় সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ দেশের প্রধান প্রধান সবকটি চ্যানেলে প্রায় পাঁচ হাজার বার প্রচারিত হবে বলে জানানো হয়।
আরও পড়ুন >> অস্ট্রেলিয়ার গবেষণাগারে বয়স কমানোর ওষুধ আবিষ্কার
এ স্পটে দেখা যায়, বাস স্টপেজের লাইনে নারী ও শিশুসহ অনেক মানুষ বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন। হঠাৎ একজন সিগারেট জ্বালায় যার ধোঁয়ায় এক মা ও শিশুর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এরপর দেখা যায় ধোঁয়া ওই নারীর শ্বাসনালীতে প্রবেশ করে কীভাবে রক্তের প্লাটিলেটকে সক্রিয় করে রক্তের ঘণত্ব বাড়িয়ে তোলে এবং ধমনীর ক্ষতি করে। ক্ষতিগ্রস্ত রক্তনালীতে প্লাকের আস্তর জমে মস্তিষ্ক ও হৃদপিণ্ডে রক্তপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে। যার পরিণাম হতে পারে স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাক।
স্পটে আশপাশের মানুষের ওপর পরোক্ষ ধূমপানের ভয়াবহ ক্ষতির দিকগুলো তুলে ধরার পাশাপাশি জনসমাগম স্থলে ধূমপানে প্রতিবাদী হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
২০০৯ সালের গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোবাকো সার্ভের তথ্য তুলে ধরে জাহিদ মালেক বলেন, ‘বাংলাদেশে ৪৩ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক (১৫ থেকে ৬৮ বছর বয়সী) মানুষ তামাক সেবন করেন। সংখ্যায় দাঁড়ায় প্রায় চার কোটি ৩০ লাখ। এটা খুবই বড় একটা ফিগার।’
আরও পড়ুন >> নাক ডাকা রোগীদের জন্য ঘুমের ল্যাব
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রতি বছর দেড় লাখ মানুষ তামাকজনিত অসুখে মৃত্যুবরণ করেন। আমরা সচেতন আছি, এ হার আমরা কমাতে চাই।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমরা আশা করব এ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে জনগণ আরও সচেতন হবে।’
দেশে ৬০ থেকে ৭০ লাখ যুবক ইয়াবায় আসক্ত বলেও জানান স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সিরাজুল হক খান, অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান খান ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, ভাইটাল স্ট্র্যাটেজি’র কান্ট্রি ডিরেক্টর শফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
আরএমএম/এমএআর/আরআইপি