গর্ভকালীন পরিচর্যার অভাবে বাড়ছে সেরিব্রাল পালসি
গর্ভকালীন সময়ে যথাযথ পরিচর্যার অভাবে দেশে সেলিব্রাল রোগের প্রকোপ বাড়ছে। বাংলাদেশে এ রোগে আক্রান্ত রোগীর সঠিক পরিসংখ্যান নেই। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) এ পর্যন্ত মোট ১১ হাজার সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্তকে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে।
রোববার বিএসএমএমইউতে ‘সেরিব্রাল পালসি : এন আপডেট’ শীর্ষক এক কর্মশালায় এ তথ্য তুলে ধরা হয়। এস্টাবলিশমেন্ট অব ইনস্টিটিউট অব প্যাডিয়াট্রিক নিউরো-ডিসঅর্ডার অ্যান্ড অটিজম (ইপনা) এই কর্মশালার আয়োজন করে।
বিশেষজ্ঞরা জানান, সেরিব্রাল পালসি হলো শিশুদের বিকাশজনিত এক ধরণের সমস্যা। যা শিশুর জন্মের সময়, মায়ের গর্ভে থাকাকালীন অথবা জন্মের পরে মস্তিষ্কের আঘাতজনিত কারণে হয়ে থাকে। এরফলে শিশুর শারীরিক প্রতিবন্ধকতার পাশাপাশি কথা বলা, কানে কম শোনাসহ দৃষ্টি শক্তির ক্ষেত্রেও সমস্যা হয়।
আয়োজকরা জানান, দেশে শিশু রোগ বিশেষজ্ঞদের সেরিব্রাল পালসি ও তার নিরাময়ে সর্বশেষ তথ্য উপাত্ত অবহিত এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ই এ কর্মশালার উদ্দেশ্য।
ইন্টারন্যাশনাল চাইল্ড নিউরোলজি অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় আয়োজিত এ কর্মশালার উদ্বোধন করেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য় অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. সাহানা আখতারও রহমান বক্তব্য রাখেন।
কর্মশালায় বিশ্বখ্যাত শিশু স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ ভারতের অধ্যাপক প্রতিভা সিংহী ও ডা. হারলিন উপল, ইংল্যান্ডের ডা. বিজু আব্দুল হামিদ, বিএসএমএমইউয়ের ইপনার পরিচালক অধ্যাপক ডা. শাহীন আকতার সেরিব্রাল পালসি সম্পর্কে সর্বশেষ তথ্য উপস্থাপন করেন।
বিএসএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া তার বক্তৃতায় এ ধরণের কর্মশালা সেরিব্রাল পালসি রোগের বর্তমান পরিস্থিতি ও এর নিরাময়ে চিকিৎসার সর্বশেষ অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে এবং পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়ের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন।
ইপনা পরিচালক অধ্যাপক ডা. শাহীন আকতার দেশের সেরিব্রাল পালসির বর্তমান চিকিৎসা ব্যবস্থার চিত্র তুলে ধরে বলেন, গর্ভকালীন সময়ে যথার্থ পরিচর্যার অভাবে বাংলাদেশে এর প্রকোপ বেশি।
তিনি বলেন, বিএসএমইউ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইপনা শুরু থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১১ হাজার সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত রোগীকে চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ইপনা অটিজম, সেরিব্রাল পালসিসহ অন্যান্য স্নায়ু বিকাশজনিত রোগের সমন্বিত চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনা দিয়ে থাকে। এছাড়াও ইপনা এ সংক্রান্ত বিষয়ে গবেষণা, প্রশিক্ষণ এবং কোর্স পরিচালনা করে আসছে।
এমইউ/এমএমজেড/জেআইএম