তিন মাসের মধ্যে বিএসএমএমইউ মেডিক্যাল কনভেনশন সেন্টার উদ্বোধন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) আওতায় আন্তর্জাতিকমানের মেডিকেল কনভেনশন সেন্টার নির্মাণ কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার বিকেলে রাজধানীর মিন্টু রোডে এ মেডিক্যাল কনভেনশন সেন্টার পরিদর্শনে এসে নির্মাণ কাজের অগ্রগতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
আগামী তিন মাসের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেডিকেল কনভেনশন সেন্টার উদ্বোধন করবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএসএমএমইউ ভিসি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, প্রোভিসি (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার, প্রোভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
মেডিক্যাল কনভেনশন সেন্টারের বিষয়ে বিস্তারিত মন্ত্রীকে অবহিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) ও সেন্টার অব এক্সিলেন্সে পরিণতকরন ২য় পর্যায় প্রকল্পের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু নাসার রিজভী।
তিনি জানান, বিএসএমএমইউকে সেন্টার অব এক্সিলেন্সে পরিণতকরন ২য় পর্যায় প্রকল্পের কার্যক্রম শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে কেবিন ব্লকের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ, পাঁচতলা পর্যন্ত দু’টি সর্বাধুনিক বর্হিবিভাগ নির্মাণ, ৫তলা বিশিষ্ট ডক্টরস ডরমেটরি নির্মাণ, সর্বাধুনিক মেডিক্যাল কনভেনশন সেন্টার এবং ৫ তলাবিশিষ্ট অনকোলজি ভবন নির্মাণ কাজ শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে। শুধুমাত্র বর্জ্য অপসারণ প্লান্টের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম আন্তর্জাতিকমানের মেডিক্যাল কনভেনশন সেন্টার নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আশা করি, আগামী তিন মাসের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কনভেনশন সেন্টারটির শুভ উদ্বোধন করবেন। এ ধরনের একটি মেডিক্যাল কনভেনশন সেন্টারের খুবই প্রয়োজন ছিল। বিভিন্ন সভা, সেমিনার, সিম্পোজিয়ামে যোগ দিতে প্রতিনিয়ত বিদেশিরা আসছেন। তাঁদের জন্যও এটা কাজে লাগবে।
তিনি বলেন, বিএসএমএমইউকে আন্তর্জাতিকমানে উন্নীত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত আন্তরিক। বাংলাদেশ সরকার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ও কোরিয়ান সরকারের অর্থায়নে বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে মাল্টি ডিসিপ্লিনারি এন্ড সুপার স্পেশালাইজড হসপিটাল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিকমানের চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠানে উন্নীত করার সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্যবিষয়ক গবেষণার প্রাণকেন্দ্রে প্রতিষ্ঠা করাই মূল লক্ষ্য।
উল্লেখ্য, সেন্টার অব এক্সিলেন্সে পরিণতকরণ ২য় পর্যায় প্রকল্প ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে শুরু হয়েছে ও ডিসেম্বর ২০১৭-এর মধ্যে শেষ হওয়ার কথা। নির্ধারিত সময়েই এ প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এ প্রকল্পের মোট প্রাক্কলিত ব্যয় প্রায় ৫ শত ২৫ কোটি ৫৭ লাখ ৯৮ হাজার টাকা।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মেডিকেল কনভেনশন সেন্টার পরিদর্শনের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আব্দুল্লাহ আল হারুন, সিন্ডিকেট মেম্বার অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমেদ, কার্ডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. এস এম মোস্তফা জামান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী একেএম হাবিবুর রহমান, চিফ এস্টেট অফিসার ডা. এ কে এম শরীফুল ইসলাম, উপ-রেজিস্ট্রার ডা. শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।
এমইউ/ওআর/এমএস