ভিডিও EN
  1. Home/
  2. স্বাস্থ্য

১৫ বছর আগে শয্যা বাড়লেও জনবল বাড়েনি

মেসবাহুল হক | প্রকাশিত: ০৪:৪০ এএম, ১১ ডিসেম্বর ২০১৭

২০০২ সালে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালকে ১০০ শয্যা থেকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। অথচ বর্তমানে ১০০ শয্যার জনবল দিয়েই হাসপাতালটি চিকিৎসাসেবা প্রদান করছে। অর্থাৎ ১৫ বছর ধরে ১০০ শয্যার জনবল দিয়ে ২৫০ শয্যার হাসপাতালের কার্যক্রম চলছে। ফলে জনগণের চিকিৎসাসেবায় বিঘ্ন ঘটছে। এমন মূল্যায়ন খোদ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের।

অবশেষে টনক নড়েছে সরকারের। হাসপাতালটিতে জনবল নিয়োগের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুর ১২টায় সচিবালয়ে অনুষ্ঠিতব্য প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির বৈঠকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সিরাজগঞ্জ জেলা হাসপাতালের জন্য রাজস্বখাতে পদ সৃজনের অনুমোদনের জন্য একটি প্রস্তাব পাঠায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ। স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ সচিব মো. সিরাজুল হক খান স্বাক্ষরিত প্রস্তাবনায় এসব তথ্য উঠে আসে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য সচিব মো. সিরাজুল হক খানের মুঠোফনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

প্রস্তাবনায় বলা হয়, সিরাজগঞ্জ একটি বৃহৎ জেলা। বর্তমানে এ জেলার জনসংখ্যা প্রায় ২৯ লাখ ১২ হাজার ৫১১ জন। ২০০২ সালে সিরাজগঞ্জ জেলা হাসপাতালকে ১০০ শয্যা থেকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। বর্তমানে ১০০ শয্যার জনবল দিয়ে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হচ্ছে। ফলে জনগণের চিকিৎসাসেবায় বিঘ্ন ঘটছে। সর্বস্তরের জনগণের সুষ্ঠু চিকিৎসাসেবা প্রদানের লক্ষ্যে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের জন্য নতুন পদ সৃজন প্রয়োজন।

এতে বলা হয়, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সিরাজগঞ্জ জেলা হাসপাতালের জন্য বিভিন্ন ক্যাটাগরির ১০২টি পদ সৃজনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২৪টি ক্যাডার পদ স্থায়ীভাবে ও অস্থায়ীভাবে ৭৮টি (এর মধ্যে ৩৮টি আউটসোর্সিং) পদসহ মোট ১০২টি পদ কতিপয় শর্ত সাপেক্ষে রাজস্বখাতে সৃজনে এবং বিদ্যমান ১৫টি পদ বিলুপ্তিতে সম্মতি জ্ঞাপন করে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যয় নিয়ন্ত্রণ অণুবিভাগ শর্ত সাপেক্ষে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মতিকৃত ২৪টি ক্যাডার পদ স্থায়ীভাবে এবং অস্থায়ীভাবে ৭৩টি (এর মধ্যে ৩৮টি আউটসোর্সিং) পদসহ মোট ৯৭টি পদ সৃজনে এবং বিদ্যমান ১৫টি পদ বিলুপ্তিতে সম্মতি জ্ঞাপন করে।

এমইউএইচ/এআরএস/এমএস

আরও পড়ুন