এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্কতার নির্দেশ
এবার এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হেতে যাচ্ছে ৬ অক্টোবর। এ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি এবং তা কেন্দ্রে পৌঁছানোর সময় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
বুধবার সচিবালয়ে এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা তত্ত্বাবধানে গঠিত ওভারসিইং কমিটির সভায় সভাপতিত্বকালে তিনি এই নির্দেশ দেন।
সভায় নাসিম বলেন, গতবছর যেভাবে পরীক্ষা প্রক্রিয়া নিয়ে কোনো প্রশ্ন উত্থাপনের সুযোগ ঘটেনি, তেমনিভাবে এবছরও যেন সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে, যাতে করে নিরাপত্তাজনিত কোনো বিচ্যুতি না ঘটে।
তিনি বলেন, এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে দেশের সুশীল ব্যক্তিত্ব ও প্রবীণ চিকিৎসকদের নিয়ে ওভারসিইং কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের পরামর্শ ও প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে গতবছর ভর্তি পরীক্ষায় সাফল্য এনে দিয়েছিল।
আগামীতেও সুশীল সমাজের পরামর্শ কাজে লাগানো হবে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মেডিকেল ও ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার মান সমুন্নত রাখতে কোনো আপস করা হবে না। ভর্তি পরীক্ষার আগে ভুয়া প্রশ্নপত্র বানিয়ে নিরীহ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে প্রতারণার অপকৌশল বন্ধ করতে ১ সেপ্টেম্বর থেকে ভর্তি কোচিং সেন্টার বন্ধ করা হয়েছে।
এলক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করার জন্যে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তারপরও যেন কোনোভাবে এ ধরনের অপতৎপরতা না চলে তার জন্য নজরদারি বাড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলা হয়েছে।
নাসিম জানান, আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ভর্তি পরীক্ষায় আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত একটি বৈঠক হবে।
সভায় স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, দৈনিক সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার, বিশিষ্ট কলামিষ্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, দৈনিক আমাদের অর্থনীতির সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান, ৭১ টেলিভিশনের পরিচালক (বার্তা) সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) সভাপতি অধ্যাপক ডা. সহিদুল্লাসহ বিশিষ্ট বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, শিক্ষাবিদ এবং মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এমইউ/জেডএ/জেআইএম