বিএসএমএমইউ ভিসি আইপিপিএনডব্লিউয়ের সহ-সভাপতি নির্বাচিত
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভিসি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান নোবেল বিজয়ী পারমাণবিক যুদ্ধ প্রতিরোধ বিষয়ক চিকিৎসকদের আন্তর্জাতিক সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ফিজিশিয়ানস ফর দ্য প্রিভেনশন অব নিউক্লিয়ার ওয়ারের (আইপিপিএনডব্লিউ) সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন।
বুধবার নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠিত আইপিপিএনডব্লিউ’র সম্মেলনের সমাপনী দিনে অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খানকে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।
১৯৮৩ সালে নোবেল বিজয়ী এ সংগঠনটি পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে কাজ করে যাচ্ছে। আইপিপিএনডব্লিউ’র বাংলাদেশের অঙ্গ সংগঠন হচ্ছে পিএসআর বাংলাদেশ, যা বাংলাদেশের প্রথিতযশা চিকিৎসকদের দ্বারা পরিচালিত। পিএসআর বাংলাদেশ খাদ্যে ভেজাল, ছোট অস্ত্র ব্যবহার রোধ এবং জঙ্গিবাদ প্রতিরোধের মতো বিষয়ে জনমত গঠন করতে কাজ করে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, ৩ ও ৬ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠিত হয় আইপিপিএনডব্লিউ কেন্দ্রীয় সম্মেলন। এতে সারাবিশ্বের চিকিৎসকদের পাশাপাশি অংশ নেন অনেক মেডিকেল ছাত্র-ছাত্রী। সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন পিএসআর বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক বিএসএমএমইউ’র অধ্যাপক ডা. এ কে এম সালেক।
প্রতিবারের মতো এবারও বৈশ্বিক বিষয়ে আলোচনা ও কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় কমিটি নির্বাচিত হয়। ওই নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন পিএসআর বাংলাদেশের সভাপতি ও বিএসএমএমইউ’র ভিসি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান।
এদিকে অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান আইপিপিএনডব্লিউয়ের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় বিএসএমএমইউ’র বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, বিভিন্ন অফিস প্রধানসহ এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাকে অভিনন্দন জানান।
মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান ১৯৫৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলের ঘাটাইল থানার ভাবনদত্ত গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মো. হারুনুর রশীদ খান এবং মাতার নাম মিসেস রোকেয়া খান। পারিবারিক জীবনে তিনি প্রখ্যাত নাট্যকার ও অভিনেতা ও মুক্তিযোদ্ধা মামুনুর রশীদের ছোট ভাই এবং তার স্ত্রী অধ্যাপক ডা. মাসুদা বেগম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হেমাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক।
অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান বিভিন্ন পেশাজীবীদের সম্মিলিত সংগঠন পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সচিব, পরিকল্পনাকারী, উদ্যোক্তা ও সংগঠক এবং বর্তমানে তিনি দেশের গুরুত্বপূর্ণ এ সংগঠনটির মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এমইউ/এমআরএম/জেআইএম