পাঁচ মেডিকেল ও এক ডেন্টাল কলেজের ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত
সরকার নির্ধারিত নীতিমালার শর্ত পূরণ না করায় ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের জন্য পাঁচটি বেসরকারি মেডিকেল ও একটি ডেন্টাল কলেজের ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কলেজগুলো হলো ঢাকার নর্দার্ন ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ, আইচ মেডিকেল কলেজ, সাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ, কেয়ার মেডিকেল কলেজ, কেরানীগঞ্জের আদ্-দ্বীন বসুন্ধরা মেডিকেল কলেজ এবং রাজধানীর সাফেনা উইমেন্স ডেন্টাল কলেজ। তবে কলেজগুলোর অন্যান্য শ্রেণির শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ নীতিমালা সংক্রান্ত সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এতে সভাপতিত্ব করেন। দেশের বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের গত ছয় মাসের পরিদর্শনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রদত্ত সুপারিশের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মানহীন কলেজ বন্ধে সরকারের অভিযান অব্যাহত থাকবে। যারা শর্ত পূরণ করতে পারছে না তাদের ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। যদি তারা সব শর্ত পূরণ করে মানসম্মত কলেজে উন্নীত হতে না পারে তবে তাদের সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হবে। চিকিৎসক বানানোর কেন্দ্র মেডিকেল কলেজগুলোতে মানের ঘাটতি সরকার কোনোভাবেই মেনে নেবে না।
এছাড়া গত শিক্ষাবর্ষে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী না পাওয়ায় ৫৬টি মেডিকেল এসিসটেন্ট ট্রেনিং স্কুলের (ম্যাটস) কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এসময় অন্যান্য ম্যাটস ও আইএইচটি যথাযথ নিয়ম মেনে মানসম্মত কার্যক্রম পরিচালনা করছে কি না তা পরিদর্শন করে ব্যর্থ প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে প্রয়োজনে কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণের নির্দেশ দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। বর্তমানে দেশে ১৯৬টি ম্যাটস্ ও ৯৮টি আইএইচটি চালু রয়েছে।
দেশে স্থাপিত ৬৯টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের মধ্যে নীতিমালার শর্ত পূরণ না করায় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নির্দেশে গত শিক্ষাবর্ষে চারটি কলেজের ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল, যা এখনও বহাল আছে।
সভায় স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব সিরাজুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, বিএমডিসির সভাপতি অধ্যাপক ডা. শহীদুল্লাহ, বিএসএমএমইউর ডিন অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলানসহ মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এমইউএইচ/জেডএ/আইআই