প্রতি উপজেলায় পুষ্টিবিদ নিয়োগ দেবে সরকার
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেছেন, সরকার প্রতি উপজেলায় একজন করে পুষ্টিবিদ নিয়োগ করবে। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে পুষ্টি চালের কার্যকারিতা বিষয়ক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। বর্তমানে দেশে কোন খাদ্যাভাব নেই কিন্তু এখনও সুষম খাদ্য নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। এখনও বাংলাদেশে বিপুল সংখ্যক নারী পুষ্টিহীনতায় ভুগছে। যার কারণে নারীরা এনিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা রোগে ভূগছে, শিশুরা বামন বা খর্বাকৃতি হচ্ছে। এ সমস্যা সমাধান করার জন্য সরকার হতদরিদ্র নারীদের মাঝে পুষ্টি চাল বিতরণ কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। পরীক্ষামূলকভাবে দেশের ৩৫টি উপজেলায় পুষ্টি চাল বিতরণ কার্যক্রম চলছে। পর্যাক্রমে সারাদেশে এ পুষ্টি চাল বিতরণ সম্প্রসারণ করা হবে।
তিনি বলেন, সুষম খাদ্য বিষয়ে আমাদের দেশের জনগণের ধারণা অপ্রতুল। এজন্য সরকার প্রতিটি উপজেলায় একজন করে পুষ্টিবিদ নিয়োগের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি জানান, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতি মাসে সারাদেশে ১০ লাখ হতদরিদ্র নারীকে ৩০ কেজি করে চাল এবং ৮ লাখ হতদরিদ্র মাকে মার্তৃত্বকালীন ভাতা প্রদান করে।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মিজ মাহমুদা শারমিন বেনুর সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন ওয়াল্ড ফুড প্রোগ্রাম বাংলাদেশের প্রতিনিধি মিজ ক্রিস্টা রাডের। পুষ্টি চালের কার্যকারিতা বিষয়ক গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরেন আইসিডিডিআরবি’র নিউট্রিশন ও ক্লিনিকাল সার্ভিস বিষয়ের সিনিয়র ডাইরেক্টর ডা. তাহমিদ আহমেদ।
এফএইচএস/ওআর/জেআইএম