প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধ কিনা দেখতে মাঠে বিএমএ নেতারা
চিকিৎসার অবহেলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী মৃত্যুর ঘটনায় রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভাঙচুর ও ডাক্তারদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঘোষিত ‘প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধ’ কর্মসূচি দেখতে মাঠে নেমেছেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) শীর্ষ নেতারা।
বিভিন্ন গ্রুপে ভাগে বিভক্ত একেকজন বিএমএ নেতার নেতৃত্বে পাঁচ সাত জন চিকিৎসকের পৃথক দল রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতাল, ল্যাব এইড, স্কয়ার ও ইবনেসিনাসহ বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে দেখেন।
বিএমএ মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী ল্যাব এইডসহ একাধিক হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।
বিএমএ-এর আন্তজার্তিক বিষয়ক সম্পাদক ডা. আবুল হাশেম খানসহ একাধিক বিএমএ নেতা জাগো নিউজকে জানান, প্রতিটি প্রাইভেট হাসপাতালের চিকিৎসকরা স্বতস্ফুর্তভাবে প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধ রাখার কর্মসূচি পালন করেছেন। কোথাও কোনো চিকিৎসক রোগী দেখেননি। আজকের কর্মসূচি শতভাগ সফল।
তিনি জানান, বিএমএ’র আহ্বানে গত ২১ মে থেকে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি সব হাসপাতালে দায়িত্বরত চিকিৎসকদের কালোব্যাজ ধারণ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। ২৫মে পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে।
গত ১৭ মে সন্ধ্যায় ঢাবির প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী আফিয়া জাইন চৈতীকে সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।
মৃতের সহপাঠী ও শিক্ষকদের অভিযোগ, ভর্তির পর চিকিৎসকরা জানায় আফিয়ার লিউকেমিয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী তাকে চিকিৎসা করা হয়। কিন্তু পরদিন জানানো হয় আফিরার ডেঙ্গু হয়েছিল।
ভুল চিকিৎসার কারণে আফিয়ার মৃত্যু হয়েছে। এ অভিযোগে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা হাসপাতালে ভাঙচুর চালান। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।
এদিকে ভুল চিকিৎসায় ছাত্রীর মৃত্যুর অভিযোগে ঢাবির ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আমজাদ আলী সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকসহ নয়জনকে আসামি করে মামলা করেন।
এসব ঘটনার প্রতিবাদে বিএমএ জরুরি সভা ডেকে কালো ব্যাজ ধারণ, প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধসহ নানা কর্মসূচি ঘোষণা করে।
এমইউ/এমএমএ/এমএস